সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঠিক দু’বছর আগে এশিয়া কাপে মুখোমুখি হয়েছিল ভারত-পাকিস্তান। ২০২৩ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সেই ম্যাচের পর বদলে গিয়েছে অনেক কিছু। পহেলগাঁও হামলা, অপারেশন সিঁদুর, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে ভারতীয়দের ‘না’- ঘটেছে একের পর এক ঘটনা। কিন্তু বদলায়নি একটা জিনিস। সেটা হল, এশিয়া কাপের মঞ্চে ভারতের কাছে পাকিস্তানের আত্মসমর্পণ। রবিবারও ভারতীয় বোলারদের সামনে কার্যত অসহায় হয়ে পড়ল পাক ব্যাটিং লাইন আপ।
রবিবারের ম্যাচে টস হারেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন পাক অধিনায়ক সলমন আলি আঘা। তবে সূর্য বলেন, রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এখানে ব্যাট করা সহজ হয়ে যায়। এখানে আর্দ্রতা বেশি, আশা করি রাতের দিকে একটু শিশির পাওয়া যাবে। অর্থাৎ পরে ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে তিনি খুশি। রবিবারের টসে সলমনের সিদ্ধান্ত যে কতখানি ভুল ছিল, সেটা অবশ্য চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন তাঁর সতীর্থরাই। ভারতীয় স্পিনারদের সামনে একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়ল গোটা পাক ব্রিগেড।
প্রথম ওভারেই হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে আউট হয়ে যান ওপেনার সাইম আয়ুব। দ্বিতীয় ওভারে জশপ্রীত বুমরাহর শিকার মহম্মদ হ্যারিস। পরপর দু’জন ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফেরার পর পাওয়ার প্লেতে আর উইকেট হারায়নি পাকিস্তান। কিন্তু রান তোলার গতিও বাড়েনি। বরং পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর ভারতীয় স্পিনারদের সামনে রান তোলার মরিয়া চেষ্টা করতে গিয়েই একের পর এক উইকেট খোয়ান সলমনরা। মাত্র ৩ রান করে ফেরেন পাক অধিনায়ক। হাসান নওয়াজ, মহম্মদ নওয়াজরাও মাত্র এক অঙ্কের রানে ফেরেন।
ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ৪৪ বল খেললেও মাত্র ৪০ রান করেন। ১৭ রানে ফেরেন ফখর জামান। একেবারে শেষ লগ্নে এসে পাকিস্তানে রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান শাহিন আফ্রিদি। পাক পেসারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে একশো রানের গণ্ডি পেরয় পাকিস্তান। শাহিনকে যোগ্য সঙ্গত করেন আরেক টেলএন্ডার সুফিয়ান মুকিম। শেষ পর্যন্ত ১২৭ রানে গিয়ে থামে পাকিস্তানের ইনিংস। উল্লেখ্য, এশিয়া কাপে শেষবার দুই দলের সাক্ষাতে ২২৮ রানে জিতেছিল ভারত। রবিবারের ম্যাচে পাকিস্তান কম রানে গুটিয়ে যাওয়ায় আবারও দাপুটে জয়ের হাতছানি ভারতের সামনে।