ভারতভাগে জিন্নার মতো দায়ী কংগ্রেসও, পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত বদল NCERT-র!

ভারতভাগে জিন্নার মতো দায়ী কংগ্রেসও, পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত বদল NCERT-র!

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাধীনতা দিবসের পোস্টারে মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিংয়ের মাথার উপরে বিনায়ক দামোদর সাভারকর! এই বিতর্কের মধ্যেই এবার ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বইয়ে ভারত বিভাজন এবং পাকিস্তান সৃষ্টির জন্য কংগ্রেস, মহম্মদ আলি জিন্না এবং লর্ড মাউন্টব্যাটনকে দায়ী করে একটি পরিচ্ছদ সংযোজন করতে চলেছে এনসিইআরটি। ইতিমধ্যে পাঠ্যপুস্তকের বিতর্কিত মডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, মিথ্যাচার বিজেপি ও আরএসএসের অন্যতম চালিকশক্তি। হিন্দুরাষ্ট্র গঠনের দিবাস্বপ্ন পূরণে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকেও বিকৃত করতে পিছপা নয় ওরা।

একাধিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, দেশভাগ বিভীষিকা স্মরণ দিবসকে মাথায় রেখে আগস্ট মাসে পাঠ্যপুস্তকের নতুন মডিউল প্রকাশ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, দেশভাগ ছিল মহম্মদ আলি জিন্না, কংগ্রেস এবং মাউন্টব্যাটেনের মিলিত প্রয়াস। দেশভাগের লক্ষ্যে প্রচার চালান জিন্না, কংগ্রেস যা সমর্থন করে। দেশভাগ বাস্তবায়নের জন্যই ভারতে পাঠানো হয়েছিল মাউন্টব্যাটেনকে। জানা গিয়েছে, দেশভাগ সম্পর্কিত বিতর্কিত অধ্যায় সংযোজনে পাঠ্যপুস্তকের বাইরে ষষ্ঠ-অষ্টম এবং নবম-দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য পৃথক সংস্করণ তৈরি করেছে এনসিআরটি। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে মুখ খুলেছে কংগ্রেস। এআইসিসির মুখপাত্র পবন খেরা শনিবার দাবি করেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এই কাজ করা হয়েছে। নতুন মডিউল পুড়িয়ে ফেলা উচিত বলেও দাবি করেন তিনি।

কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই এনসিইআরটি পাঠ্যপুস্তকে একের পর এক বদল আনছে। একদিকে যেমন মুঘল ইতিহাস বাদ পড়েছে, তেমনই মহাত্মা গান্ধীর হত্যাকারী নাথুরাম গডসের আরএসএস-সংশ্রব সংক্রান্ত তথ্য এবং গুজরাট দাঙ্গাও সরানো হয়েছে। সেই বিতর্কের মধ্যেই এবার নির্দিষ্ট করে ভারতভাগের জন্য কংগ্রেস, জিন্না এবং মাউন্টব্যাটেনকে দায়ী করা হল।

এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাধীনতা দিবসের পোস্টার নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। সেখানে মহাত্মা গান্ধী, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু, ভগৎ সিংয়ের মাথার উপরে স্থান পেয়েছেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর! এই পোস্টার শেয়ার করেছে পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রক। বিরোধীরা মোদি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলছে এই পোস্টার নিয়ে। তাদের দাবি, এমন একজনকে মহিমান্বিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে যিনি একসময় ‘জাতির পিতা’র হত্যাকাণ্ডের এক অভিযুক্ত ছিলেন! প্রশ্ন উঠেছে, নিজেকে মুচলেকায় ‘ইংরেজ সরকারের অনুগত ভৃত্য’ বলা সাভারকর কী করে সুভাষ-ভগতের সঙ্গে একাসনে বসতে পারেন?



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *