ভাঙা হচ্ছে মধুসূদন দত্তর বাড়ি! বাঁচাতে আদালতের দারস্থ কলকাতা পুরসভা

ভাঙা হচ্ছে মধুসূদন দত্তর বাড়ি! বাঁচাতে আদালতের দারস্থ কলকাতা পুরসভা

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: তিনি বাঙালির স্মৃতিতে সদা জাগরুক। তিনি মাইকেল মধূসূদন দত্ত, বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অন‌্যতম পথিকৃৎ। অথচ তাঁর স্পর্শধন‌্য বসতবাড়িকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে আদালতের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে খোদ কলকাতা পুরসভাকে।

১৮৭৩ সালের ২৯ জুন মাইকেলের মৃত্যু হয়। যেখানে কলকাতা পুরসভা তৈরি হয় ১৮৭৬ সালে। পুরসভার রেকর্ড বলছে এখন যেটি ৭৭ নম্বর ওয়ার্ড সেই সময় ওই এলাকা গার্ডেনরিচ পুরএলাকার মধ্যে ছিল। মাঝের সময় অনেক ভাঙাগড়া হয়েছে। কলেবরে অনেকটাই বড় হয়েছে কলকাতা পুরসভা। কিন্তু দু’শোবছর পর এমন কোনও প্রামাণ‌্য নথি পুরসভার কাছে নেই যে প্রমাণ করা যায় ২০বি কার্ল মার্ক্স সরণির দোতলা বাড়িতেই জীবনের শেষ ক’টা বছর কাটিয়েছিলেন মধুকবি।

একপক্ষ যখন ওই জমিতে বহুতল তৈরির তোড়জোড় শুরু করছে, একই সময়ে পুরসভাও কলকাতার ইতিহাসের তথ‌্য সংগ্রহ করছে। ৮০বি কার্ল মার্ক্স সরণির দোতলা বাড়ির সঙ্গে কোনও প্রামাণ‌্য অকাট‌্য তথ‌্য জোগাড় করা যায়। পুর কমিশনার ধবল জৈনের কথায়, “পুরসভার হেরটেজ তালিকায় ওই বাড়ি ঐতিহ‌্যশালী ভবন হিসাবে চিহ্নিত। কিন্তু আদালতে সেই তথ‌্য গ্রাহ‌্য হয়নি। তবে ডিভিশন বেঞ্চে যাওয়ার আগে মেয়র পারিষদ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে।” পুরসভার হেরিটেজ বিভাগ বলছে আপিল করার জন‌্য জোরালো তথ‌্য জোগাড় করা হচ্ছে। পুরসভার তথ‌্য বলছে ৮০এ এবং ৮০সি অংশটি ভাঙা হয়েছে। ৮০ বি অংশটির পিছনের অংশ ভাঙার কাজ চলছে।

প্রবীণ অধ‌্যপক পবিত্র সরকারের কথায়, ‘‘বাংলা সাহিত্যের নবজাগরণের অগ্রদূত মধুকবির স্মৃতিরক্ষায় স্থানীয় মধূসূদন লাইব্রেরি উদ্যোগী হয়েছে। পুরসভার সঙ্গে রাজ‌্য সরকারও যদি  সক্রিয় পদক্ষেপ নেয় তবে হয়তো কিছু করা যেতে পারে।” কলকাতার ইতিহাস গবেষক ডা. শঙ্কর নাথের কথায়, ‘‘মাইকেল মধূসূদন প্রথম ভারতীয় পিজি হাসপাতালে যঁার চিকিৎসা হয়েছিল। কারণ তিনি খ্রিস্টান ছিলেন।’’ তাঁর কথায় ১৮৩৬-’৩৭ সাল নাগাদ কাশীপ্রসাদ ঘোষের পরিবার থেকে এই বাড়ি কিনেছিলেন মাইকেল মধুসূদনের পরিবার। সম্ভবত তাঁর বাবা।’’ শঙ্করবাবুর কথায়, “খ্রিস্টধর্ম গ্রহণ করার পরে ইউরোপ থেকে কলকাতায় এসে এই বাড়িতেই থাকতেন। অন্তত এমনটাই শুনেছি।’’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *