সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভাঙা পায়ের পাতা নিয়েই বাইশ গজে নেমে পড়েছিলেন ঋষভ পন্থ। কেবল মাঠে নামা নয়, একাধিক সিঙ্গলস নিয়েছেন, হাঁকিয়েছেন বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারিও। এমন বীরত্ব দেখে মুগ্ধ গোটা ক্রিকেটমহল। কিন্তু কোন মন্ত্রে এমন অসম্ভবকে সম্ভব করলেন পন্থ? নেপথ্যে রয়েছে মুন বুট।
কী এই মুন বুট? বৃহস্পতিবার পন্থ যখন ম্যাঞ্চেস্টারে ব্যাট করতে নামেন, তখন দেখা যায় তাঁর দু’পায়ে দু’রকম জুতো। বাঁপায়ে রয়েছে খেলার জুতো। কিন্তু চোট পাওয়া পায়ে অন্যরকম জুতো। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা মোটা এই জুতোই হল মুন বুট। পায়ের বা গোড়ালির চোট সারাতে অনেক সময় এই জুতো ব্যবজার করেন চিকিৎসকরা। ওয়াকিং বুট বা অর্থোপেডিক বুট বলেও পরিচিত এই জুতো। বৃহস্পতিবার ম্যাঞ্চেস্টারে পন্থকে নায়ক করে তোলার নেপথ্যে এই জুতোর অবদান নেহাত কম নয়।
পায়ের নানা রকম সমস্যা মেটাতে ব্যবহার হয় এই মুন বুট। পা বা গোড়ালি ভাঙা, লিগামেন্ট ছেঁড়া, পা ফুলে যাওয়া-নানারকম সমস্যা সারাতে মুন বুট ব্যবহার করা হয়। যেহেতু এই জুতোটি অনেকটা মহাকাশ্চারীদের জুতোর মতো দেখতে সেকারণেই একে মুন বুট বলা হয়। পায়ের চোটে মূলত তিনটি কাজ করে এই মুন বুট। প্রথমত, চোট লাগা অংশের নড়াচড়া বন্ধ করে দেয় যেন সেখানে আর আঘাত না লাগে। দ্বিতীয়ত, পায়ের উপর চাপ পড়া কমিয়ে দেয় জন্য আঘাত পাওয়া হাড়গুলি দ্রুত সুস্থ হয়। তৃতীয়ত, চোট সত্ত্বেও ক্রাচ বা অন্যান্য সাহায্য ছাড়াই হাঁটতে সাহায্য করে এই মুন বুট।
খুব শক্ত প্লাস্টিকের প্যাডিং দিয়ে তৈরি হলেও এই মুন বুট বেশ হালকা। সেকারণেই চোট পেলেও এই জুতো পরতে সমস্যা হয় না। সাধারণত এই জুতোর দাম তিন থেকে আট হাজারের মধ্যে। কিন্তু ঋষভের মতো শীর্ষ পর্যায়ের খেলোয়াড়দের ব্যবহৃত জুতোর দাম শুরু হয় দশ হাজার টাকা থেকে। তাঁদের চোটের কথা মাথায় রেখে বিশেষ ডিজাইনের মুন বুটও বানানো হয়। ম্যাঞ্চেস্টার টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে পন্থ ব্যাট করতে নামবেন কিনা তা এখনও জানা নেই। কিন্তু যদি তিনি নামেন, মুন বুট পরেই নামতে দেখা যাবে তাঁকে।