সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেইমতো ভয়াবহ ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে যাওয়া আফগানিস্তানে মানবিক সাহায্য পাঠাল ভারত। সোমবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে এক্স হ্যান্ডেলে বিবৃতি জারি করে আফগানিস্তানে মানবিক সহায়তা পাঠানোর কথা জানানো হয়েছে। আপাতত এক হাজারেরও বেশি তাঁবু, ১৫ টন খাদ্য সামগ্রী পাঠিয়েছে সরকার। আগামীকাল থেকে আরও সাহায্য পাঠানো হবে বলে জানানো হয়েছে।
রবিবার রাতে ভয়ংকর ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশ। যার জেরে ৮০০-র বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে আফগানিস্তানে। আহতের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৩। ভূমিকম্পের পরে একাধিক আফটারশকে কেঁপে ওঠে দিল্লি, পাকিস্তান-সহ অন্যান্য বেশ কিছু দেশ। মাটি থেকে মাত্র আট কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎস। ভূপৃষ্ঠের এত কাছে উৎস হওয়ায় এর প্রভাব ধ্বংসাত্মক হয়েছে আফগানিস্তানে। এই ভূমিকম্পের রেশ তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারত পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে।
)
পড়শি দেশের মর্মান্তিক পরিস্থিতি দেখে শোকপ্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসসিও বৈঠক শেষ হতেই এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে এত প্রাণহানি দেখে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এই কঠিন সময়ে স্বজনহারাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আফগানিস্তানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সাহায্য করতে প্রস্তুত ভারত।’ প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির পর আফগানিস্তানের বিদেশমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। এরপরই তিনি জানান, বিপর্যস্ত কাবুলে এক হাজার পরিবারের জন্য তাঁবু পাঠিয়েছে ভারত সরকার। কাবুল থেকে কুনারের উদ্দেশে পাঠানো হয়েছে ১৫ টন খাদ্য সামগ্রী। আগামিকাল থেকে আফগানিস্তানে আরও খাদ্য সামগ্রী পাঠানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় বিভাগের (UNOCHA) তরফে জানানো হয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল পাকিস্তান সীমান্তের কাছে নাঙ্গারহার প্রদেশের কামা জেলা। প্রাথমিক রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এই ভূমিকম্পে কুনার, লাঘমান, নাঙ্গারহার এবং নুরিস্তান প্রদেশগুলি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। UNOCHA অনুমান কমপক্ষে ১২,০০০ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।