সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ংকর কিছু ঘটতে চলেছে ইরানে! সেই আশঙ্কা উসকে দিয়ে এবার তেহরান খালি করার বার্তা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি ইরানের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু। সেই আবহেই স্থানীয়দের তেহরান খালির পরামর্শ দিয়ে ট্রাম্প জানালেন, ইরানের উচিত ছিল নতুন পরমাণু চুক্তিতে সই করা। ট্রাম্পের এহেন মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগ বেড়েছে।
যা কিছু ঘটতে চলেছে তার জন্য ইরানকে দায়ী করে এদিন সোশাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘ট্রুথ’-এ লেখেন, ‘ইরানের উচিত ছিল নতুন পরমাণু চুক্তিতে সই করা। আমি ওদের চুক্তিতে সই করতে বলেছিলাম। সেটা করলে এই লজ্জার ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানীর ঘটনা ঘটত না। ইরান কোনওভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারবে না। আমি এটি বারবার বলেছি।’ এরপরই ইরানবাসীকে বার্তা দিয়ে ট্রাম্প লেখেন, ‘সবাই জরুরিভিত্তিতে তেহরান খালি করে দিন।’
এদিকে জি-৭ বৈঠক উপলক্ষে বর্তমানে কানাডায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যদিও জানা যাচ্ছে, বড়সড় কিছু ঘটার আশঙ্কায় মাঝপথেই ওই বৈঠক ছেড়ে ফিরে আসছেন তিনি। হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়েছে মঙ্গলবার রাতে ওয়াশিংটনে ফিরে আসছেন তিনি। এদিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট জি-৭ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি বড় বাণিজ্য চুক্তিও করেছেন। প্রেসিডেন্টের এই সফর থেকে আমেরিকা অনেক কিছু অর্জন করেছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতিকে গুরুত্ব দিয়ে আজ রাতেই দেশে ফিরে আসছেন তিনি।
গত শুক্রবার ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালানো হয় ইজরায়েলের তরফে। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানীকে নিখুঁত পরিকল্পনায় হত্যা করে ইজরায়েল। এই ঘটনার পর ফের মধ্যপ্রাচ্যে বেজে উঠেছে যুদ্ধের দামামা। ইজরায়েলের দাবি, ইরান পরমাণু বোমার খুব কাছে ছিল। নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।