সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সলমন খানে শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘সিকন্দর’। বক্স অফিসে এই ছবি কলকে না পেলেও কাজের গতি কমেনি বলিউডের ভাইজানের। দেশ-বিদেশে নানা শো, শুটিং নিয়ে ব্যস্ত তিনি। তবে সম্প্রতি ‘দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো’-এ এসে তিনি যা বললেন, তাতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন সলমনের অনুরাগীরা। ৫৯ বছর বয়সি সুপারস্টার একাধিক জটিল শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত। জানান, ট্রাইজেমিনাল নিউরালজিয়া, মস্তিষ্কে অ্যানিউরিজম এবং এভি ম্যালফর্মেশন থাকা সত্ত্বেও তিনি উদ্যম হারাননি! কতটা প্রাণঘাতী ব্রেন অ্যানিউরিজম রোগ? জানালেন বিশেষজ্ঞরা।
কী এই ব্রেন অ্যানেউরিজম?
‘সেরিব্রাল অ্যানিউরিজম’-এর অপর নাম ব্রেন অ্যানিউরিজম। এটি মস্তিষ্কের রক্তনালীর একটি দুর্বল অংশে ছোট্ট ফোঁড়ার মতো হয়ে ফুলে ওঠে। ধমনীর দুর্বল অংশটি রক্তচাপের কারণে বেলুনের মতো ফুলে ওঠে। এটি ফেটে গেলে মস্তিষ্কে রক্তপাত হতে পারে, যা খুবই বিপজ্জনক। বেশিরভাগ অ্যানিউরিজম ছোট থাকে। তখন কোনো উপসর্গ দেখা দেয় না। তবে রক্তনালীর ওই অংশটি ফেটে গেলে তা জীবনঘাতী হতে পারে।
অ্যানিউরিজম কেন হয়?
ডাক্তাররা বলছেন, মস্তিষ্কের ধমনীর দেওয়াল পাতলা এবং দুর্বল হয়ে এলে অ্যানিউরিজম দেখা দিতে পারে। তবে, অনেক সময় মানুষ মস্তিষ্কের অ্যানিউরিজম নিয়েও জন্মগ্রহণ করে থাকে। এটি জন্মসূত্রে ধমনীর দেওয়ালের অস্বাভাবিকতার কারণে তৈরি হয়। ধমনীর দুর্বলতা তৈরি হওয়ার জন্য আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে। যেমন- অতিরিক্ত পরিমানে ধূমপান ও অ্যালকোহলে আসক্তি। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, জেনেটিক ত্রুটি প্রভৃতি ব্রেন অ্যানিউরিজমের কারণ হতে পারে।
অ্যানিউরিজম ফেটে গেলে তা কি প্রাণঘাতী হয়?
অ্যানিউরিজম ফেটে গেলে মস্তিষ্কের টিস্যুতে রক্ত ছড়িয়ে পড়ে। এতে মস্তিষ্কের উপর চাপ বাড়ে এবং ফোলাভাব দেখা দেয়। এর ফলে তীব্র মাথাব্যথা শুরু হয় যা ‘থান্ডারক্ল্যাপ’ নামে পরিচিত। এই অবস্থায় রোগীর বমি বমি ভাব, ঘাড়ের পেশি শক্ত হয়ে যাওয়া, ঝাপসা দৃষ্টি ও খিঁচুনির মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
তাই, এই লক্ষণগুলির কোনওটি দেখা গেলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। কপিল শর্মার শো-তে এই রোগ নিয়ে সলমন ভক্তদের জানিয়েছেন। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।