সঞ্জিত ঘোষ, নদিয়া: কৃষ্ণনগরের তরুণী ঈশিতা মল্লিকের হত্যাকাণ্ডের পর পেরিয়ে গিয়েছে তিন দিন। এখনও অধরা অভিযুক্ত। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই সামনে আসছে বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত দেশরাজের অপরাধে হাতেখড়ি নিজের বাড়িতেই। পরিবারের একাধিক সদস্যের রয়েছে অপরাধযোগ। এই ঘটনাটিকে পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবেই দেখছে পুলিশ। এই ঘটনায় একা দেশরাজ নয়, যুক্ত তার ভাইও, এমনই জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ আধিকারিকরা জানিয়েছেন, দেশরাজের পরিবারের একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে উত্তরপ্রদেশে খুন, অপহরণ-সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। খুনের আগের দিন ভিডিও কনফারেন্সে দেশরাজ নিহত তরুণীকে হুমকি দেয় বলেও জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত দেশরাজের আদি বাড়ি উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়ায়। পুলিশের দাবি, তার খুড়তুতো ভাই নীতিন প্রতাপ সিং গত ১৯ মে ট্রেনে কাঁচরাপাড়ায় আসে। খুনে ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র দেয় দেশরাজকে। পুলিশের ধারণা, এরপর পাঁচ দিন তারা ভাড়াবাড়িতে থেকে খুনের পরিকল্পনা করে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে দেশরাজের নামে কাটা ট্রেনের টিকিটে উত্তরপ্রদেশে ফেরে নীতিন।
পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে খুনের আগে ও পরে পরিকল্পনামাফিক চারটি সিম কার্ড ব্যবহার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। এর মধ্যে একটি সিম কার্ড উত্তরপ্রদেশের এক মূক ও বধির ব্যক্তির নামে ছিল। দেশরাজের নিজের সিমের লোকেশন রাজ্যের বাইরে দেখানোর পাশাপাশি অন্য সিমের লোকেশন হাওড়া, আসানসোল ও বরাকরে দেখিয়ে তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে। এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত দেশরাজ। পুলিশের অনুমান, উত্তরপ্রদেশেই কোথাও গা ঢাকা দিয়ে থাকতে পারে অভিযুক্ত। সূত্রের খবর, অভিযুক্ত দেশরাজের খোঁজ পেতে ইতিমধ্যে উত্তরপ্রদেশ রওনা দিয়েছে পুলিশের একটি টিম। পুলিশের দাবি, তদন্ত সঠিক পথে এগোচ্ছে এবং একাধিক স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে। দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের আশা প্রকাশ করেছেন পুলিশ অধিকারিকরা।