সুরজিৎ দেব, ডায়মন্ড হারবার: মহেশতলায় নার্স ‘খুনে’র ঘটনায় একাধিক তথ্য সামনে আসছে। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক খুব একটা ভালো ছিল না বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, স্বামী নাসির আলি মদ্যপ থাকতেন। স্ত্রীর থেকে ব্যবসার জন্য টাকা নিয়েও মদ, জুয়ার ঠেকে সেসব ওড়ানো হয়েছে বলে অভিযোগ। শিল্পী বিবির ‘খুনে’র ঘটনায় তাঁর স্বামীর হাত কতটা? সেই প্রশ্নও উঠেছে।
খুনের ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। মৃতার স্বামীকে আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। মৃতার বাপেরবাড়ির, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গেও কথা বলছেন তদন্তকারীরা। মদ্যপ স্বামী নাসির আলিকে নিয়ে তীব্র অশান্তিতে ভুগছিলেন শিল্পী। তেমনই জানাচ্ছেন মৃতার বাপেরবাড়ির লোকজন। শিল্পীর দাদা পেশায় গাড়ির চালক শামসুর হক বলেন, “সেই রাতে স্ত্রীর মৃত্যুর পরেও জামাইয়ের আচরণ খানিকটা বিস্মিত করেছে।” তিনি আরও বলেন, “নাসির সবসময় মদ্যপ অবস্থাতেই থাকে। জুয়াও খেলে সে। এসব কিছুই সহ্য করতে পারত না শিল্পী। স্বামীকে ভালো পথে আনতে বহু চেষ্টা করেছে বোন। ফুটপাথে জুতো বিক্রির ব্যবসার জন্য টাকাও দিয়েছিল। কিন্তু মদ খেয়ে আর জুয়া খেলে সব টাকাই উড়িয়ে দিত সে।”
শ্বশুরবাড়িতে ছাদ ঢালাইয়ের চেষ্টা করেছিলেন শিল্পী। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাতে রাজি ছিলেন না বলে অভিযোগ। ভাসুরের সঙ্গে শিল্পীর অশান্তিও হয়েছিলেন বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়িতে থাকতেও চাইছিলেন না তিনি। স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি নিয়ে ক্রমেই অশান্তি বাড়ছিল তাঁর। এমনই অভিযোগ করেছেন মৃতার বাপেরবাড়ির অভিযোগ। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাটা মোড় থেকে কিছুটা দূরে যে গলির মধ্যে শিল্পীর দেহ পড়েছিল সেই গলিতে নাসিরকে বেশ কয়েকবার ঢুকতে সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে। আর তাতেই তার ওপর পুলিশের সন্দেহ দ্বিগুণ হয়েছে। তবে পুলিশ সেই রাতের আরও কিছু সিসিটিভির ফুটেজ হন্যে হয়ে খুঁজছে।