সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বোয়িং ৭৮৭ ও বোয়িং ৭৩৭ বিমানের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ সুইচে (FCS) কোনও সমস্যা নেই। আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর ওই সিরিজের সমস্ত বোয়িং বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেয় এয়ার ইন্ডিয়া। সেই পরীক্ষা শেষে এয়ার ইন্ডিয়া স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল, জ্বালানি সুইচে কোনও সমস্যা নেই। অর্থাৎ বিমান দুর্ঘটনার নেপথ্যে যে দাবি করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিল বিমান সংস্থা।
গত ১২ জুন আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমান আকাশে ওড়ার কয়েক সেকেন্ড পর ভেঙে পড়ে একটি মেডিক্যাল কলেজের উপর। দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় ২০০ জনের বেশি মানুষের। ঘটনার তদন্তে এয়ারক্রাফট অ্যাক্সিডেন্ট ইনভেস্টিগেশন ব্যুরোর প্রাথমিক রিপোর্টে দাবি করা হয়, আহমেদাবাদ দুর্ঘটনার আগের মুহূর্তে বিমানটি যখন উপরে ওঠার জন্য গতি পাচ্ছে, তখনই দু’টি ইঞ্জিনের জ্বালানি ‘কাটঅফ’ মুডে চলে যায়। ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বিমানের উচ্চতা কমতে থাকে। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই অবশ্য পাইলটরা ফের বিমানের দুটি ইঞ্জিনের জ্বালানি ফের ‘কাটঅফ’ থেকে থেকে ‘রান’ মুডে নিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে। একটি ইঞ্জিন চালু হলেও আর একটি ইঞ্জিন চালু করা যায়নি। ফলে ‘থ্রাস্ট’ পাওয়া যায়নি। তবে এই রিপোর্ট ঘিরে নানা বিতর্ক শুরু হয়।
বিতর্ক দানা বাঁধার পরেই ডিজিসিএর তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, ২১ জুলাইয়ের মধ্যে বোয়িং বিমানের এফসিএস খতিয়ে দেখতে হবে। সেই নির্দেশ মেনেই এয়ার ইন্ডিয়ার সমস্ত বোয়িং ৭৮৭ খতিয়ে দেখে এয়ার ইন্ডিয়া। এরপর ১৬ জুলাই রিপোর্ট পেশ করে এয়ার ইন্ডিয়া জানায় বোয়িং ৭৮৭ বিমানের জ্বালানি সুইচে কোনও ত্রুটি ছিল নেই। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করে এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়ে দিল তাদের কাছে থাকা সমস্ত বোয়িং ৭৩৭ বিমানের জ্বালানি সুইচ পরীক্ষা করা হয়েছে। সেখানেও কোনও ত্রুটি পাওয়া যায়নি।