সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় ২৬ জনের মৃত্যুর পর পাক মদতে ভূস্বর্গে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে সরব ভারত। সন্ত্রাসবাদ দমনে গোটা বিশ্বকে পাশে চাইছে মোদি সরকার। যদিও বরাবরের মতো দায় ছেড়ে ফেলেছে পাকিস্তান। কিন্তু নিজের দেশের নাগরিকদের কাছেই সোশাল মিডিয়ায় ট্রোল (হাসির খোরাক) হচ্ছে শাহবাজ সরিফের সরকার। পাক নাগরিকরা সেদেশের সরকারকে সামাজিকমাধ্যমে কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন। যা নিয়ে হাসির রোল উঠেছে বিশ্বজুড়ে।
একদিকে যখন পহেলগাঁওয়ে হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পদক্ষেপ করেছে নয়াদিল্লি। যেমন, সিন্ধু জল বণ্টন চুক্তি স্থগিত রাখা, ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের ভিসা বন্ধ ইত্যাদি। অন্যদিকে পাকিস্তানি নাগরিকরাও সেদেশের সরকারে কাছে পহেলগাঁও হামলার জন্য জবাবদিহি চাইতে শুরু করেছেন। তাছাড়া সোশাল মিডিয়ায় বিভিন্ন মিম এবং ব্যঙ্গচিত্রের মাধ্যমে সেদেশের প্রশাসনকে বিদ্ধ করতে শুরু করেছে।
পোস্টগুলির বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, পহেলগাঁও হামলার পর ভারতের বিভিন্ন পদক্ষেপকে সমর্থন করা হয়েছে। পাশাপাশি সেদেশের প্রাথমিক চাহিদাগুলি পূরণ করতে সরকারের ব্যর্থতাকে নিয়ে কটাক্ষ করা হয়েছে। এক নেটিজেন এক্স হ্যান্ডেলে উপহাস করে লিখেছেন, ‘ভারত যদি পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধ করতে চায় তাহলে তারা যেন রাত ন’টার আগে এসে যুদ্ধ শেষ করে।’ এর কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তানে এর পর আর গ্যাস সরবরাহ করা হয় না।
আর একজন সমাজমাধ্যম ব্যহারকারীর প্রশ্ন, ভারত কি পাকিস্তানে বোমা ফেলতে চায়? এর উত্তরে আর এক নেটিজেন উত্তর দিয়েছেন, ‘ভারতীয়রা এত বোকা নয়।’ আরও এক ব্যবহারকারীর উত্তর, তাঁদের দুর্দশা বোমা ফেলার চেয়েও খারাপ। “এই দুর্দশার শেষ কখন হবে ভাই?” জিজ্ঞাসা করেছেন তিনি। ভারতের সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত করা নিয়ে একজন বলেন, “জল বন্ধ করতে চান? এমনিতেই আমাদের এখানে কোনও জল সরবরাহ নেই।”