- তমোনাশ দে সরকার
ভবা পাগলা। পাগলই বটে। সামান্য মিষ্টি হেসে কথা বলে বা এক কাপ চা-বিস্কুট খাইয়ে ওকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়ে নেওয়া যায়। পাড়ার সব ধরনের ইমার্জেন্সি কাজ। খটমটে কাজ সব। সবার জন্য সে আছে। এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মা-বাবার একসঙ্গে চলে যাওয়া সদ্য ক্লাস নাইনে ওঠা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়া মেধাবী ছাত্র ভবেশ মিত্র। ভবা। দুর্ঘটনার আকস্মিকতায় চিরতরে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে। পড়াশোনার ওখানেই ইতি। ওরা যে বাড়িতে ভাড়া থাকত মালিক লাগোয়া একটা সিঙ্গল রুমে ওকে নিখরচায় আশ্রয় দিল। এই তল্লাটের সবাই ভবার সমব্যথী। দরদী। বাকরুদ্ধ হয়ে যাবার পর শুধু সারাক্ষণ শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে। চোখের চাহনিতে এক নিশ্চল বৈরাগ্য।
সেই সদ্য কিশোর ভবেশ এখন চল্লিশ ছুঁইছুঁই তরুণ। কিছুটা পিঙ্গল বর্ণ চুল-দাড়ি নীলাভ চোখ মিলে দীর্ঘদেহী মেদহীন টান টান চেহারার ভবাকে যিশু বলেও অনেকে ডাকে। সে ডাকেও সে সাড়া দেয়। সেই কিশোর বয়সেই অনেকের হার্টথ্রব হয়ে ওঠা ভবেশ মিত্তির এখনও বেশ আত্মসচেতন। নিস্পৃহ তার চাহনি। ভাবলেশহীন তার ভঙ্গি।
মহল্লার মানুষজন তার জামা-জুতো-প্যান্ট-টুপি সহ গুচ্ছের পোশাক-আশাক দেয় নিয়মিত। বাড়ির মালিকের কাজের মাসি ওর যত্নআত্তি করে। সারাদিন সে গোটা তল্লাটে চক্কর কাটে। গলিতে গলিতে তার বিচরণ। সন্ধের পর ফেরে। রাত একটু গভীর হলেই সে আবার পথে পথে। একটি রাতও সে ঘরে থাকতে পারে না। তখন এক আতঙ্ক তাকে গ্রাস করে। এক ছুটে বাড়ির বাইরে চলে যায়। মুক্ত আকাশে চাঁদ-নক্ষত্রের দিকে নির্নিমেষ চেয়ে থাকে। ক্লান্ত হয়ে এক সময় এর ওর বারান্দা নয়তো রাস্তার ধারে কারও গেটের সামনে ঘুমিয়ে পড়ে। কখনো-সখনো বাড়ির মালিকের ছেলেরা ওকে খুঁজেপেতে বুঝিয়ে-সুঝিয়ে নিজেদের বাড়ির বারান্দায় এনে একটা খাটিয়ায় শুইয়ে দেয়। কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা! কিছুক্ষণ বাদেই স্ট্রিট লাইটের আলো আঁধারিতে দেখা যায় দীর্ঘদেহী যিশুর ছায়ামূর্তি।
এভাবেই কেটে গেল পঁচিশটি বর্ষা-শীত-ঝড়-জল গ্রীষ্মের দহন আর বসন্তের কূজন।
সেবার নোটবন্দির সময় এর ওর জন্যে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানো-অনলাইন তখন সেভাবে চালু হয়নি। রিজার্ভেশন কাউন্টারে অন্যের জন্যে তৎকাল টিকিটের লাইনে দাঁড়ানো-শেষ রাতে গিয়ে-ভোটার আইডি এসব হারিয়ে গেলে থানার জন্যে ইংরেজিতে ডায়েরি লিখে দেওয়া-হাসপাতালে জেনারেল পেশেন্টের জন্যে লাইন ধরে রাখা-অন্যের জন্যে র্যাশনের লাইনে দাঁড়ানো এসব নিত্যই করে চলে ভবা। মুখে কোনও প্রতিক্রিয়া নেই। না হাসি না বেদনা। নির্বিকার। তখন নেট চালু হয়নি সেভাবে। ফেসবুকটুক এসব আসেনি। কত দুরুদুরু বুক হাতের তালু ঘেমে ওঠা কিশোরীর ভীরু অনুরোধে জায়গা মতো চিরকুট পৌঁছে দিয়েছে গার্জেনদের চোখ এড়িয়ে। জবাবও এনে দিয়েছে সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় ভবা পাগলা।
পাগলা নামটি আদরের ডাক। “পাগলা” ডাকেও সে সাড়া দেয়। “যিশু” ডাকেও তার আপত্তি নেই। চোখ-মুখ প্রতিক্রিয়াহীন তার।
বছর দুয়েক আগের ঘটনা। ওয়েদার খুব খারাপ ঘনঘন বাজ পড়ছে। থেকে থেকেই ঝেপে বৃষ্টি হচ্ছে। কোনও বারান্দা আর শুকনো নেই আশপাশে। তাহলে আজ ভবা কোথায় তার রাতের আশ্রয় খুঁজে নেবে। বেশিরভাগ বাড়ির তা আবার বাগানঘেরা বন্ধ গেট। আজ রাতে ভবার নিরাশ্রয় অবস্থার কথা ভেবে এই বিদ্যুৎ-চমক ঝড়ো দুর্যোগের মধ্যেই বাড়ি মালিকের দুই ছেলে বের হল ভবাকে খুঁজতে। ভবাদা ভবাদা ডাকে কোনও সাড়া নেই! বাকরুদ্ধ হলেও কানে তো রীতিমতো শুনতে পায় সে। তবে আজ গেল কোথায় সে! দুই ভাই হতাশ হয়ে দুশ্চিন্তা নিয়ে ফিরে এল ঘরে। ওদের মা-বাবাও নিদ্রাহীন শুয়ে রইলেন। ভবাকে তাঁরা নিজের সন্তানদের চেয়ে কোনও অংশেই কম ভাবতে পারেন না। আকৈশোর এই অনাথ মানুষটির প্রতি মায়াটা একটু বেশিই যেন। তাঁদের চোখের সামনেই দুরন্ত মেধাবী কন্দর্পকান্ত ছেলেটির শৈশব থেকে বেড়ে ওঠার সময়কাল।
লাস্ট লোকাল চলে গেল। স্টেশনের দিক থেকে আসা রাস্তার শেষ যাত্রীটির পদশব্দ দেখতে দেখতে মিলিয়ে গেল এই দুর্যোগের রাতে। হঠাৎ লোডশেডিং! ঝপ করে চারদিক অন্ধকার। শুধু মাঝে মাঝে বিদ্যুতের ঝলক। ঠিক তখনই ওরা দুজনা মেয়েটিকে পাঁজাকোলা করে জাপটে ধরে নিয়ে আসছে স্টেশনের দিক থেকে। গোঁ-গোঁ শব্দ। মুখবাঁধা মেয়েটির। পেছন পেছন আরও একজন ছেলে। গ্যারাজের ধার ঘেঁষে বড় গাছটার নীচটা সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো। ওখানে মেয়েটাকে সটান শুইয়ে দিল ওরা। ভিজে সপসপে ওদের সবার কাপড়-জামা। আপ্রাণ চেষ্টা করছে নিজেকে ছাড়াবার অসহায় কিশোরীটি। দুজন ওর দুটো হাত চেপে ধরল। তৃতীয় ছেলেটি মেয়েটির প্যান্টি টেনে নামিয়ে খুলে নিল। নিজে প্রস্তুত হল কোমরের বেল্ট ঢিলে করে। ছেলেটি সবে নিজের প্যান্টের চেনটা নীচে টেনেছে ঠিক তখনই অশরীরী এক ছায়ামূর্তির আবির্ভাব! নিঃশব্দে একেবারে সরীসৃপ সতর্কতায়। বিদ্যুতের ঝলকানিতে এক ভয়ংকর ছায়ামূর্তিকে এগিয়ে আসতে দেখা গেল।
হাত দুটো চেপে ধরে থাকা ছেলে দুটো উঠে দৌড়! অঝোরে তখনও চলছে বৃষ্টি। এবার হাঁটু গেড়ে বসে থাকা ছেলেটা উঠে দাঁড়াতেই ওর প্যান্ট টেনে ধরল ছায়ামূর্তি। কোনওক্রমে টেনেহিঁচড়ে নিজেকে ছাড়িয়ে সেও দৌড় লাগাল। ছায়ামূর্তি যিশুর শক্ত মুঠোয় ধরা রইল তার বেল্ট সহ প্যান্টখানা।
মুখের বাঁধন খুলে দিতেই কিশোরীটি কেঁদে উঠল ভবা কাকু ভবা কাকু! আমাকে বাঁচাও কাকু! ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝে মাঝেই বিদ্যুতের ঝলকানি। সেই দুর্যোগের মাঝরাতেই রেললাইন পাশের ঝোপড়পট্টিতে থাকা আক্রান্ত কিশোরীকে থানায় নিয়ে গিয়ে ভবা নিজেই ডায়েরি লিখল। ডিউটিরত পুলিশ অফিসার ওকে বিলক্ষণ চেনেন। নতুন বদলি হয়ে আসা সব অফিসারই বিদায়ি অফিসারের মুখ থেকে তল্লাটের হালহকিকত সবকিছু জেনেবুঝে নেওয়ার সময় ভবার কথাও জানতে পারেন অবধারিতভাবে। অকুতোভয়, বাকশক্তিরহিত, অমিত শক্তিশালী, মাতৃপিতৃহীন পরোপকারী এই জনপ্রিয় সুদর্শন তরুণটির কথা লোকের মুখে মুখে ফেরে।
অফিসার সংক্ষিপ্ত অভিযোগটি পড়লেন। কেস ডায়েরি সাজানোর অভ্রান্ত সাক্ষী ভবা নিজে আর সাবুদ হল ছেলেটির প্যান্ট, পার্স ও মোবাইল।
এল অতিমারি। করোনা। সঙ্গে এল কড়া লকডাউন। এল শিথিল লকডাউন। এলোমেলো হয়ে গেল সব রুটিন। আতঙ্কের এখন অন্য নাম জীবন। এই সময় আরও অপরিহার্য হয়ে উঠল ভবা পাগলা। গুচ্ছের মাস্ক, গ্লাভস আর দামি দামি পিপিইতে ভরে উঠল ভবার ভাণ্ডার। সেসব পরে নিয়ে দিন-রাত ভবা টহল দিতে থাকে মহল্লা। পুলিশ ওকে ঘাঁটায় না সবাই জানে।
মুখে মাস্ক, হাতে গ্লাভস, পিপিই পোশাকে ঢাকা তল্লাটের যিশু নতুন রূপে সারাদিন এমনকি বেশ রাত পর্যন্তও এই দোকান সেই দোকান বাজারে টুকটাক কেনাকাটা করে তল্লাটে সবার ব্যাগ নিয়ে হাটবাজার করছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে দিয়ে আসছে।
ক’দিন থেকেই লক্ষ করছে। একটা সতর্ক ফিশফাশ। একতলা বাড়িটার পশ্চিমধারে কোনার ঘরটা অন্ধকার। জানলা বন্ধ। বাড়ির সামনে বাঁশের রেলিং দিয়ে ঘেরা। একদিন জনাকয়েক মাতব্বর এসে শাসিয়ে গেল। আপনারা কেউ বাড়ি থেকে বেরোবেন না। বারান্দায় কেউ বেরোলেই পাশের ক্লাবের ছেলেরা রে রে করে তেড়ে আসে। সেদিন ভবা বাড়িটার পাশ দিয়ে যেতে গিয়ে থমকে দাঁড়াল। বাঁশের রেলিং ডিঙিয়ে কোনার বন্ধ জানলাটায় টোকা দিল। জানলা খুলে গেল। ভবা কথা বলতে পারে না কিন্তু শ্রবণশক্তি, চোখের প্রখর দৃষ্টি অটুট। ও দেখে, বাড়ির বুড়ো দাদু খাট থেকে নেমে কোনও ক্রমে জানলার কাছে এলেন। বললেন আমরা বাড়িতে পাঁচ-পাঁচটা প্রাণী উপোস দিচ্ছি। চাল-ডাল-আনাজ কিচ্ছুটি নেই। ভবা তুমি আমাদের বাঁচাও। আমার করোনা হয়নি। পুরোনো হাঁপের টান। একটু জ্বর হয়েছিল মাঝে। ওরা এসে আমাদের বয়কটের নিদান দিয়ে গেল।
ভবা প্রথমে বাঁশ খুলল। বারান্দায় উঠে এল। বাড়ির লোকজন সবাই ভেতর থেকে বেরিয়ে এল। প্রতিবেশী ঘরগুলো থেকে দুই-তিনজনা জড়ো হল। বাড়ির বৌমা বলল, আমাদের পুরোনো ডাক্তার এসেছিল, চেকআপ করে বলেছে ওয়েদার চেঞ্জের জন্য জ্বর। করোনার সিম্পটম নেই।
এরই মাঝে ক্লাবের জনাকয়েক জুনিয়ার ছেলে উঠে এল বারান্দায়। আপনারা সবাই ভেতরে যান। এক্ষুনি ভেতরে যান! আর ভবাদা তুমি এই বাঁশগুলো খুললে কেন! বলে হম্বিতম্বি করতে লাগল। জটলা দেখে থানার সেকেন্ড অফিসার জিপটাকে ঘোরালেন। কাছাকাছি আসতেই চোখে পড়ল বারান্দায় পিঙ্গল চুল-দাড়ি সবার চেয়ে মাথায় উঁচু চেহারাটাকে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যাক গিয়ার। ভবার মুখোমুখি হওয়া যাবে না এখন।
ঝোপড়পট্টির সেই কিশোরীর “অপহরণ আর ধর্ষণের চেষ্টা” কেসটার আইও ছিলেন মেজোবাবু। সদ্য এই থানায় এসেছেন তখন। নানা দিক থেকে চাপ ছিল কেসটাকে সালিশি করে মিটিয়ে নেওয়ার। তাছাড়া অভিযুক্ত ওই তিনজনের একজনের বাবা বিশাল ধনী আর প্রচুর প্রতিপত্তি তার। নানা টালবাহানা করে একটা দুর্বল চার্জশিট তৈরি করে আদালতে ধমক খেয়ে পিছু হটতে বাধ্য হন আইও সাহেব। সেকেন্ডারি চার্জশিট দাখিল করতে হয়। সাক্ষী ভবাকে একদিন থানায় ডাকিয়ে এনেছিলেন। কথায় কথায় ওকেও ম্যানেজ করার চেষ্টা করেছিলেন নরমে-গরমে।
ভবার নীলাভ চোখের স্থির দৃষ্টির সামনে কথা আর এগিয়ে নিতে ভরসা পাননি। ভবা টিআই প্যারেডে তিনজন অভিযুক্তকেই শনাক্ত করল।
লোয়ার কোর্টে তিনজনের সাজা হয় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। হায়ার কোর্টও সাজা বহাল রাখে। থানার বড়বাবু বদলি হয়ে যাবার আগে মেজোবাবুকে ডেকে সাবধান করে বলেছিলেন- দেখবেন যিশুর মুখোমুখি হবেন না যেন। ও কিন্তু পুলিশের গাড়ি পোশাক রাইফেল বন্দুক টন্দুক কিছুই তোয়াক্কা করবে না আর ও কিছু করে বসলে এই তল্লাটে ওর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার কোনও লোক খুঁজে পাওয়া যাবে না।
সেবার কিশোরীটির ওপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ঝোপড়পট্টির লোকজন আর দলমত নির্বিশেষে নাগরিক সমাজ বিরাট আন্দোলন গড়ে তুলেছিল এলাকায়। যিশু ছিল সর্বাগ্রে। মেজোবাবুর কাছে খবর ছিল ওই বাড়ির সামনে বাঁশ বেঁধে ঘেরা দেওয়া হয়েছে করোনা সংক্রামিত এই সন্দেহে। ক্লাবের ছেলেরা এটা করছে। যা দিনকাল ক্লাবকে চটাবার সাহস থানা দেখাতে পারেনি।
খবর পেয়ে ক্লাবের একজন সিনিয়ার মাতব্বর ছুটে এল বাইক নিয়ে। ভবারই সমবয়সি। এসেই সবাইকে ধমকাতে শুরু করল। ওর পেছনে বসে আসা ছেলেটি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। সকাল সকাল ছাইপাশ গিলে এসেছে। প্রতিবেশী যারা এসেছিল তাঁদের দিকে তেড়ে গেল। আপনারা কেন এসেছেন! যান যার যার বাড়ি যান।
প্রতিবেশীদের একজন বলল, ডাক্তার বলেছে ওঁর করোনা হয়নি আমরা সবাই শুনেছি। এরা তো না খেতে পেয়ে মরে যাবে যে।
যেই না একথা বলা ক্লাবের ছেলেরা সেই বয়স্ক ভদ্রলোকটিকে এই মারে তো সেই মারে। বাড়ির বৌমা একটু সাহস সঞ্চয় করে বলল ওরা বলেছে ফেরিওয়ালাদের থেকেও কিছু নিতে পারব না। ওদের কিছু হাতে ধরে দিলে বাজারপাতি করে দেবে ওরাই…। কথা শেষ হল না। দাদুর বৌমাকে সপাটে চড় কষাল সেই মাতব্বরের সঙ্গে আসা মস্তানটি। মুখ দিয়ে তার মদের গন্ধ।
ভবা পাগলা দু’হাতে দুজনকে ধরে গলা চেপে ধরল। গলা ছেড়ে দিয়ে ঘুসির পর ঘুসি। মুহূর্তে ক্লাবের বাদবাকি সদস্যরা সব হাওয়া। ওই দুজন তখন ভবার পায়ে ধরার শক্তিটাও হারিয়েছে… ভবা ইশারায় টাকা আর বাজারের থলে চাইল বাড়ির লোকেদের কাছে।
তল্লাটের যিশুর পরনে তখনও পিপিই হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক। মাথায় ফেল্ট ক্যাপ। পা-এ ভারী বুট।
The publish বোধ appeared first on Uttarbanga Sambad.