নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: দেশের বেসরকারি কোচিং সেন্টারগুলির হালহকিকত কেমন? এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে একগুচ্ছ লিখিত প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারী। তবে মিলল না যথাযথ উত্তর। এসব তথ্য রাখার দায়িত্ব মন্ত্রকের নয় বলে দায় এড়ালেন শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় উপভোক্তা বিষয়ক প্রোটেকশন অথরিটির দিকে দায় ঠেলে তিনি স্রেফ জানান, দেশের বেসরকারি কোচিং সেন্টারগুলির জন্য সরকার এতদিন কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
২১ জুলাই, সোমবার থেকে সংসদে শুরু হয়েছে বাদল অধিবেশন। চলবে একমাস। জানা গিয়েছে, সেখানেই ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব লিখিত প্রশ্নের মাধ্যমে জানতে চেয়েছিলেন, দেশে ইউপিএসসি পরীক্ষার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক অনুমোদিত কোচিং সেন্টারের সংখ্যা, পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরিচালিত কোচিং সেন্টারের বিবরণ, রাজ্যভিত্তিক এবং অনুমোদনহীন কোচিং সেন্টারের বিরুদ্ধে সরকার কী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তাতে শিক্ষামন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী তথা বালুরঘাটের বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের জবাব, শিক্ষা মন্ত্রক নয়, এগুলির নজরদারি করে সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে কতগুলি প্রতিষ্ঠান এই ধরণের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে সেই বিশদ খতিয়ান দিয়ে এপ্রসঙ্গে সুকান্ত আরও জানিয়েছেন, বেসরকারি কোচিং এবং টিউশন ক্লাসগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বেশ কয়েকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল নির্দেশিকা ও আইন প্রণয়ন করেছে।
তিনি আরও জানান, দেশজুড়ে ছড়িয়ে থাকা এই কোচিং সেন্টারগুলির অধিকাংশই বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, যাদের সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইন অনুযায়ী নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন। শিক্ষামন্ত্রক গত ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪-এ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির জন্য কোচিং সেন্টার নিয়ন্ত্রণের নির্দেশিকা জারি করেছে। ভোক্তা বিষয়ক বিভাগ, অর্থাৎ সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি কোচিং ইনস্টিটিউটগুলির বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য জরিমানা ঘোষণা করে এবং তাদের এই ধরনের বিজ্ঞাপন বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।