সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘বেয়ারা, চালাও ফোয়ারা, জিন শেরি শ্যাম্পেন, রাম’-কিশোর কুমারের এই গান কে না জানেন! সুরা প্রেমিকরা মনে করেন দুঃখ ভোলাতে মদেরজুড়ি মেলাভার! এখন তো আবার সুঃখ, দুঃখ-সব কিছুতেই মদ একছত্র আধিপত্য বিস্তার করেছে। একটা সময় ছিল যখন মদ্যপানের সঙ্গে সমার্থক ছিল পুরুষরা। কিন্তু বর্তমান সময়ে মহিলাদের মদ্যপানের হার বেড়েছে। ২০১৯ সাল থেকে ২০২১ সালে চালানো এনএফএইচএস-৫ সমীক্ষায় ৭টি রাজ্যের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানকার মহিলারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি মদ্যপান করেন।
উত্তরপূর্ব রাজ্য অরুণাচলপ্রদেশের মহিলারা দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি পরিমাণে মদ্যপান করেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, এই রাজ্যের ২৪.২ শতাংশ মহিলা মদ্যপান করেন। মহিলাদের সবথেকে বেশি মদ্যপান করা রাজ্যের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সিকিম। এই রাজ্যের ১৬.২ শতাংশ মহিলা মদ্যপান করেন বলে সমীক্ষা অনুযায়ী জানা গিয়েছে। ঘরেই তৈরি এক ধরনের বিশেষ মদ এখানে খুবই জনপ্রিয়। সিকিমের পর অসমের ৭.৩ শতাংশ মহিলা মদ্যপান করেন বলে জানা গিয়েছে। আদিবাসী গোষ্ঠীগুলির মদ তৈরি এবং পান করার প্রাচীন সংস্কৃতি রয়েছে, সেখানে হুইস্কি বিশেষভাবে জনপ্রিয়।
এরপরই রয়েছে দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানা। এখানকার ৬.৭ শতাংশ মহিলা মদ্যপান করেন। মজার বিষয় হল, মদ্যপানের ক্ষেত্রে এখানকার গ্রামীণ মহিলারা শহুরে মহিলাদের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে! হুইস্কি এবং বিয়ার তাঁদের বিশেষ পছন্দের। সমীক্ষা অনুযায়ী তা জানা গিয়েছে। এরপরের স্থানে রয়েছে ঝাড়খণ্ড। এই রাজ্যের ৬.১ শতাংশ মহিলা মদ্যপান করেন, মূলত উপজাতীয় এলাকায় মদ্যপানের চল প্রচুর। একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে মহিলারা মাঝে মাঝে জীবিকা নির্বাহের জন্য মদ বিক্রিও করেন। পিছিয়ে নেই কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের মহিলারাও! দ্বীপপুঞ্জের প্রায় ৫ শতাংশ মহিলা স্থানীয়ভাবে তৈরি পানীয় যেমন হান্ডিয়া, টডি পান করেন। এনএফএইচএস-৫-এর সমীক্ষা অনুযায়ী, ছত্তিশগড়ের ৪.৯ শতাংশ মহিলারা মদপান করেন। যার মধ্যে হুইস্কি এবং ভদকা সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়।
সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে শুধুমাত্র নেশা করার জন্য নয়, এইসব রাজ্যের সংস্কৃতি, জীবনযাপনের ধরন, আর্থ সামাজিক পরিবেশ-সহ আরও বেশ কিছু কারণ রয়েছে মদ্যপানের নেপথ্যে।