সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চব্বিশ সালেই টেলিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়ের দাম্পত্য কলহের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল। সেটাও প্রায় আট-নয় মাস আগে। তখন থেকেই স্বামী অরিন্দম চক্রবর্তীর সঙ্গে একছাদের তলায় থাকেন না রিয়া। যদিও দুই সন্তানের কথা ভেবে আইনি পথে ডিভোর্সের দিকে হাঁটেননি অভিনেত্রী, তবে এবার শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে যা দেখলেন, তা নিয়ে বিস্ফোরক রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়।
জানা যায়, অভিনেত্রীর শ্বশুরবাড়ি দমদম ক্যান্টনমেন্টে হলেও সন্তানদের নিয়ে তিনি আলাদা হাওড়ার ফ্ল্যাটে থাকেন। যে ফ্ল্যাট স্বামী অরিন্দমের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কেনা। রিয়া জানাচ্ছেন, আগে তাঁর স্বামী যদিও বা সন্তানদের সঙ্গে নিয়ম করে প্রতি সপ্তাহে সময় কাটাতেন, তবে বিগত কয়েক মাসে সেটা অনেক কমেছে। অভিনেত্রী দাবি, সেসময়েই তিনি কিছু আঁচ করেছিলেন। তবে এবার দমদমে শ্বশুরবাড়িতে পা রেখে যা দেখলেন কিংবা জানতে পারলেন, তাতে তাঁর চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়!
রিয়া সোশাল মিডিয়াতেও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন স্বামীর বিরুদ্ধে। তিনি জানান, শাশুড়ি অসুস্থ হওয়ায় নাতি-নাতনিকে দেখতে চেয়েছিলেন, তাই সন্তানদের নিয়ে দমদমের বাড়িতে যাওয়া। তবে সেখানে গিয়ে জানতে পারেন, বর্তমানে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে স্বামীর প্রেমিকার অবাধ যাতায়াত। কোনও কোনও দিন রাত্রিবাসও করেন নাকি। বেডরুমে গিয়ে সেই মহিলার কিছু জিনিসও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখেছেন তিনি। রিয়ার দাবি, তাঁর শ্বশুরমশাইও নাকি সেসব মেনে নিয়েছেন। এদিকে স্বামী মিউচুয়াল ডিভোর্সের জন্য চাপ দিচ্ছে। এমতাবস্থায় রিয়া গঙ্গোপাধ্যায় পড়েছেন অথৈ জলে! কেন? কারণ স্বামীর কাছ থেকে কোনও খরপোশ তিনি নেন না। এদিকে দুই ছেলেমেয়েকে সুস্থ পরিবেশে বড় করার জন্য অর্থও দরকার। তাই যত দ্রুত সম্ভব টেলিভিশনের পর্দায় ফিরতে চাইছেন তিনি।
২০১৩ সালে রিয়া ও অরিন্দমের বিয়ে হয়। সরকারি চাকরির পাশাপাশি ধারাবাহিক পরিচালনা করেন অরিন্দম। সিরিজের পরিচালনাও করেছেন। অরিন্দম ও রিয়ার যমজ সন্তানও রয়েছে। এর আগে সংবাদমাধ্যমের কাছে রিয়া জানিয়েছিলেন, “আমাকে ঠকিয়েছে অরিন্দম। আমার সঙ্গে খুবই খারাপ ব্যবহার করে। এছাড়াও অন্য মেয়েদের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আমার দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে এখন। তাই সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” যদিও সবটাই মনগড়া বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন তখন অরিন্দম! কিন্তু এবার স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুললেন রিয়া গঙ্গোপাধ্যায়।