সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বেঙ্গালুরুতে পদপিষ্ট হয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল কংগ্রেস হাইকমান্ড। সূত্রের খবর, কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং উপ মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিতে তলব করেছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শোনা যাচ্ছে, সেখানে তাঁরা কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন।
সরকারি কাজে শিবকুমার এই মুহূর্তে রাজধানীতেই রয়েছেন। তবে জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার সকালে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেবেন সিদ্দারামাইয়া। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর ক্রামগত চাপ বাড়ছে কর্নাটক সরকারের উপর। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের দুই শীর্ষ নেতাকে তলব যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
এদিকে বেঙ্গালুরু কাণ্ডের পর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামকে অন্যত্র সরানোর পরিকল্পনা করছে সিদ্দারামাইয়ার সরকার। রবিবারই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “সরকার দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের কথা ভাবছে। তাই স্টেডিয়ামটিকে আমরা অন্য কোনও জায়গায় স্থানান্তরের কথা ভাবছি।” একইসঙ্গে তিনি বলেন, “কোনও সরকারের আমলেই এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটা উচিত নয়। ব্যক্তিগতভাবে এই ঘটনা আমাকে আহত করেছে। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য ইতিমধ্যেই পাঁচজন পুলিশ কর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। পুলিশ প্রধান এবং আমার সচিবকেও বদলি করা হয়েছে।”
তবে গোটা ঘটনায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করতে পিছু পা হয়নি বিজেপি এবং জেডিএস। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা শোভা করন্ডলাজে বলেন, “সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের হাতে রক্ত লেগে আছে।” পাশাপাশি, তিনি তাঁদের পদত্যাগেরও দাবি জানিয়েছেন। যদিও তাঁর এই মন্তব্যের পর পালটা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি সিদ্দারামাইয়াও। তাঁর প্রশ্ন, “কুম্ভমেলায় এত মানুষের মৃত্যু হওয়ার পর কি উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করেছিলেন? বিজেপি এবং জেডিএস কি তখন তাঁর পদত্যাগের দাবি জানিয়েছিল?” সিদ্দারামাইয়ার সংযোজন, “এই ঘটনাটি দুঃখজনক। কিন্তু এতে প্রশাসন দায়ী নয়। ঘটনায় দোষী সাব্যস্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাই সরকারের এতে বিব্রত হওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”