সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্লে অফের লড়াই প্রায় শেষ পর্যায়ে। প্রতিটি দলের আর দুই-তিনটে ম্যাচ বাকি। মাঝে আইপিএল বন্ধ ছিল ৯ দিন। এই পরিস্থিতিতে চিন্নাস্বামীতে নাইটদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কিছুটা এগিয়েই রয়েছে আরসিবি। শুধু প্লে অফের দৌড়ে নয়, সার্বিক শক্তিতেও অ্যাডভান্টেজ কোহলিরাই। তবে চিন্তা একটাই। সেটা হল বৃষ্টি।
আসলে গত কয়েকদিন ধরেই বৃষ্টির দাপট বেঙ্গালুরুতে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, ম্যাচের দিন সন্ধেয় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার তো অতিবৃষ্টিতে কার্যত সুইমিং পুল হয়ে গিয়েছিল চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম। শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় বৃষ্টির সম্ভাবনা ৭১ শতাংশ, রাত ৮টায় ৬৯ শতাংশ। তবে রাত এগারোটার সময় তা কমে দাঁড়াবে ৩৪ শতাংশ। চিন্নাস্বামীর নিকাশি ব্যবস্থা ভালো। বৃষ্টি একেবারে ভাসিয়ে না দিলে, ম্যাচ শুরু করা যাবে।
ম্যাচ বাতিল হলে ডুববে নাইটরাই। এমনিতে প্লে অফের আশা নেই বললেই চলে। তবু ২ পয়েন্ট পেলে কিছূটা আশাভরসা থাকবে। এই পরিস্থিতিতে অবশ্য রভম্যান পাওয়েল আর মইন আলিকে পাচ্ছে না নাইটরা। সেসব নিয়ে চিন্তায় নেই আরসিবি। ফিল সল্ট, টিম ডেভিড, রোমারিও শেফার্ডরা প্রত্যেকেই চলে এসেছেন। চোট সারিয়ে অধিনায়ক রজত পাতিদারও ফিট হয়ে গিয়েছেন। ফলে তাঁর খেলা নিয়েও অনিশ্চয়তা নেই। তার মধ্যে বিরাট কোহলি টেস্ট অবসর ঘোষণার পর এই প্রথম মাঠে নামছেন। সেটাও বাড়তি মোটিভেশন।
বেঙ্গালুরুর পিচ সাধারণত ব্যাটিং-সহায়ক। তবে এবার কিছুটা বাউন্স চোখে পড়েছে। সাহায্য পাচ্ছেন স্পিনারও। আবার এটাও ঠিক, ৯ দিন পর ম্যাচ হবে। তার মধ্যে ধারাবাহিক বৃষ্টি। ফলে পিচের চরিত্র কীরকম হবে, সেই নিয়ে ধোঁয়াশা থেকেই যাচ্ছে। সেই সঙ্গে ধোঁয়াশা নাইটদের ব্যাটিং নিয়েও। কে যে কখন ‘ফ্লপ’ করবে, কেউ বলতে পারবে না। একমাত্র অজিঙ্ক রাহানে ও অঙ্গকৃষ রঘুবংশীই কিছুটা ধারাবাহিক। দলে থাকবেন মণীশ পাণ্ডেও।