সুমন করাতি, হুগলি: ফাঁকা বাড়ি মানেই চোরদের টার্গেট! আর সেখানে হানা দিয়ে দেদার লুট। দিন পাঁচেকের মধ্যে হুগলি জেলায় দু-দুটি হাইপ্রোফাইল চুরির ঘটনা ঘটল। সাঁতারু বুলা চৌধুরীর বাড়ি থেকে ‘পদ্মশ্রী’-সহ একাধিক পদক চুরির পর এবার সেখানকার এক নাট্যশিল্পীর বাড়ি থেকে আলমারি খুলে সোনার গয়না, টাকা হাতিয়ে চম্পট দিল চোরের দল। এবারের ঘটনাস্থল কোন্নগর। বাড়ি ফিরে এমন অবস্থা দেখে কার্যত স্তম্ভিত পরিবারের সদস্যরা। চুরির কায়দা বেশি করে ভাবাচ্ছে তাঁদের। তদন্তে নেমে পুলিশ একজনকে আটক করেছে। এই ঘটনার পর আরও বেশি সিসিটিভি নজরদারির দাবি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
কোন্নগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড মাস্টারপাড়ার বাসিন্দা নাট্যশিল্পী অভিরূপ গুপ্ত। তাঁর মেজ ভাই অভিজিৎ গুপ্ত গত হয়েছেন আগে। ভাইয়ের স্ত্রী শিপ্রা গুপ্ত বাড়ির একাংশে বসবাস করেন। অভিরূপবাবু জানান, নাতনি হওয়ায় বারাকপুরে মেয়ের বাড়ি গিয়েছেন মেজো ভাইয়ের স্ত্রী। বাড়ি তালা দেওয়া ছিল। পিছনের গেটের তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকে চোর। ঘরের আলমারির চাবি খুলে সোনার গয়না, টাকা-সহ একাধিক মূল্যবান জিনিস লুট করে নিয়ে যায়। রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ চুরি হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান। সোমবার শিপ্রাদেবী বাড়ি ফেরার পর বিষয়টি নজরে আসতেই উত্তরপাড়া থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্তে নেমেছে।

নাট্যশিল্পী অভিরূপ গুপ্তর কথায়, ”ঘরে যেভাবে ঢুকেছে, আলমারি না ভেঙে চাবি দিয়ে খুলেছে, কোথায় কী জিনিস থাকে, তা জানত দুষ্কৃতী। তাই মনে হয়, এটা কোনও পরিচিতের কাজ। অচেনা কেউ এটা করতে পারে না।” সাঁতারু বুলা চৌধুরীর হিন্দমোটরের বাড়ি থেকে পদক চুরির ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই পুলিশি তৎপরতায় তা উদ্ধার হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে চোরও। সেকথা উল্লেখ করে অভিরূপবাবুর আশা যে তাঁর বাড়িতে চুরির কিনারাও হবে দ্রুত।
প্রতিবেশী অর্ণব দাসের কথায়, ”মানুষের নিরাপত্তা বলে কিছু নেই। উত্তরপাড়ায় হচ্ছেটা কী? বাড়িতে তালা মেরে কোথাও যাওয়াও যাবে না!” ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর বিশ্বরূপ চক্রবর্তী বলেন, ”পুলিশ এবং পরিবারের অনুমান, খুব পরিচিত কারও কাজ এটা। একজনকে পুলিশ আটক করেছে শুনেছি। সব জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা নেই। গত এক বছরের কোন্নগরে কিছু ঘটনা ঘটেছে যেগুলো না হলেই ভালো। পুলিশকে আরও সক্রিয় হতে হবে। টহলদারি বাড়াতে হবে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন