সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুতেই একটা কথা, এতগুলো ক্যাচ মিস না হলে ইংল্যান্ডের ইনিংস এতটা বাড়ে না। দ্বিতীয় দিনের শেষে ১০০ রানে অপরাজিত থাকা অলি পোপ তৃতীয় দিন মাত্র ৬ রান যোগ করে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর বলে সাজঘরে ফেরেন। উইকেটের অন্যপ্রান্তে হ্যারি ব্রুক ভরসা জোগান ইংল্যান্ডকে। তিনি থামেন ৯৯ রানে। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শর্ট বলে হুক করতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে শার্দূল ঠাকুরের তালুবন্দি হন তিনি। জশপ্রীত বুমরাহ নেন ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ভারতের ৪৭১ রানের জবাবে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ৪৬৫ রানে।
যদিও ভাগ্যের সহায়তা পান ব্রুক। দ্বিতীয় দিনের শেষ ওভারে বুমরাহের বাউন্সার পুল করতে গিয়ে আউট হন হ্যারি ব্রুক। টিম ইন্ডিয়ার ক্রিকেটাররা সেলিব্রেশনও করতে শুরু করেন। ঘটনাচক্রে সেটা নো বল ছিল। তৃতীয় দিনও তাঁর ক্যাচ ফসকান যশস্বী। তখন ইংরেজ ব্যাটারের রান ৮২। দু-দু’বার বেঁচেও শতরান না করতে পারার হতাশা তিনি সহজে ভুলতে পারবেন না।
তবে ছোট ছোট কার্যকরী পার্টনারশিপে এগোতে থাকে ইংল্যান্ডের ইনিংস। প্রথমে বেন স্টোকস (২০)-কে সঙ্গে নিয়ে ৪১ এবং জে স্মিথ (৪০)-কে সঙ্গে নিয়ে ৭৩ রানের দারুণ পার্টনারশিপ গড়েন হ্যারি ব্রুক। স্মিথ আউট হতেই ব্যাটিং গিয়ার কিছুটা বদল করেন ব্রুক। চেষ্টা করছিলেন দ্রুত গতিতে রান তুলে স্কোরলাইন সচল রাখতে। তবে, বাদ সাধে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শর্ট বল। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দূরে থামে ২৬ বছরের এই ইংরেজ ক্রিকেটারের ইনিংস।
শেষের দিকে ক্রিস ওকস (৩৮) এবং ব্রাইডন কার্স (২২) মিলে ইংল্যান্ডের রান নিয়ে যান সাড়ে চারশোয়। তখনই জ্বলে ওঠেন মহম্মদ সিরাজ। তাঁর বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়ন যাত্রা করেন কার্স। এরপর শুরু হয় ‘বুমরাহ শো’। তাঁর বিষাক্ত ডেলিভারিতে একে একে বোল্ড ওকস এবং টং। তবে, তাঁর বলে মোট চারটি ক্যাচ ফেলেন ভারতীয় ফিল্ডাররা। তিনটি ক্যাচ ছাড়েন যশস্বী। একটি জাদেজা। এও এক নজির। কোনও একজন বোলারের বলে সর্বাধিক ক্যাচ ফসকানোর নিরিখে সবার উপরে পৌঁছে গেলেন বুমরাহ। তিনি ছাড়াও প্রসিদ্ধ কৃষ্ণর শিকার ৩ উইকেট। সিরাজের দখলে ২টি উইকেট।