‘বীর বাঙালির গাথা ভোলাতে চাইছে’, মোদি সরকারকে তোপ ঋতব্রতর

‘বীর বাঙালির গাথা ভোলাতে চাইছে’, মোদি সরকারকে তোপ ঋতব্রতর

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: স্বাধীনতার লড়াইয়ে যাদের ভূমিকা ছিল না তারা বীর বাঙালির গাথা ভুলিয়ে দিতে চাইছে। এভাবেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এক লিখিত প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয়েছিল আন্দামান সেলুলার জেলে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ ও সেই বিদ্রোহে কালাপানির সাজাপ্রাপ্ত অপ্রাপ্তবয়স্ক নায়কদের নিয়ে কোনও বিশেষ গ্যালারি রয়েছে কিনা। কিন্তু এর জবাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এমন কোনও বিশেষ গ্যালারি সেখানে নেই। এবং এরকম কোনও গ্যালারির পরিকল্পনাও নেই।

একথা জানাতে গিয়ে সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালকে তিনি বলেন, ”দেশের মানুষের তীর্থস্থান আন্দামান সেলুলার জেল। সবাই জানেন, সেই জেলে যে ৫৮৫ জন ছিলেন তাঁদের মধ্যে ৩৯৮ জন অবিভক্ত বাংলার। অর্থাৎ বাঙালির। প্রথম পর্যায়ে সেখানে ছিলেন উল্লাসকর দত্ত, বারীন ঘোষরা। সরকার আগেই জানিয়ে দিয়েছে, যে এই সব মহান বিপ্লবীদের কোনও মূর্তি সেলুলার জেলে বসানোর পরিকল্পনা নেই।”

সেই সঙ্গেই ঋতব্রত জানাচ্ছেন, ”পরবর্তী যে বীর বাঙালিরা গিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৭ জনের কথা আমি আজ জানতে চেয়েছিলাম। এঁরা চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে অংশ নিয়েছিলেন। যাদের বয়স আঠেরোর কম ছিল, তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়নি। সতেরো জনের দ্বীপান্তরের আদেশ হয়। সেদিন বীর বাঙালিরা চট্টগ্রামে যা ঘটিয়েছিলেন, এর কোনও তুলনা হয়নি। আমি জানতে চেয়েছিলাম ওঅ বিপ্লবীদের কোনও আলাদা গ্যালারি আছে কিনা। সরকার জানিয়ে দিয়েছে নেই। এবং আগামিদিনে করার পরিকল্পনাও নেই।”

এরপরই তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ”জেলটায় গেলে মনে হয় সেখানে সাভারকার ছাড়া আর কেউ ছিলেন না! গোটা জেলটা প্রায় তাঁর নামেই উৎসর্গীকৃত। যিনি বারবার মুচলেকা দিয়েছিলেন ব্রিটিশদের কাছে।” পাশাপাশি তিনি জানান, সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, জেলের ভিতরে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যে গ্যালারি রয়েছে সেখানে রয়েছে চট্টগ্রামের ওই বিপ্লবীদেরও নাম ও ছবি রয়েছে। কিন্তু ঋতব্রতর দাবি, সরকার জানাচ্ছে ১৬ জনের কথা। অথচ চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহে সাজাপ্রাপ্ত কিশোরের সংখ্যা ছিল ১৭! তাছাড়া কেবল নাম ও ছবি ছাড়া আর কোনও পরিচয়ও সেখানে লিপিবদ্ধ করা নেই। একথা জানিয়ে ঋতব্রতর কটাক্ষ, ”ইতিহাস পুনর্লিখনের চেষ্টা হচ্ছে। আর তা করতে গেলে বাঙালিকে মুছে না দিলে হবে না! স্বাধীনতার লড়াইয়ে যাদের ভূমিকা ছিল না তারা বীর বাঙালির গাথা ভুলিয়ে দিতে চাইছে। এটা হতে পারে না।”

আলিপুর জেল মিউজিয়ামের উল্লেখ করে ঋতব্রত মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেখানে কিন্তু সযত্নে বাঙালির বীরত্বের ইতিহাসকে সম্মানিত করা হয়েছে। অথচ সেলুলার জেলে এমনটা হয়নি। তাঁর কথায়, ”এই কেন্দ্রীয় সরকার বাংলা বিরোধী, বাঙালি বিরোধী, বাংলা ভাষাভাষী বিরোধী। প্রতিটি ঘটনায় ফুটে উঠছে বাংলা এদের চোখের বালি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *