বিষণ্ণ কমলা বাগান! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা-ভাইরাস সংক্রমণের জোড়া ফলায় ফলনে কোপ

বিষণ্ণ কমলা বাগান! আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনা-ভাইরাস সংক্রমণের জোড়া ফলায় ফলনে কোপ

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


ধনরাজ ঘিসিং, দার্জিলিং: একদিকে আবহাওয়ার পরিবর্তন। অন্যদিকে ভাইরাস সংক্রমণ। সাঁড়াশি আক্রমণে কমলালেবুর ফলনে ভাটা। ফলনের মরশুমে দার্জিলিং পাহাড়ের বিখ্যাত কমলা বাগানে বিষাদের ছায়া! প্রতি বছরই উৎপাদন কমছে। তবে এবার তা কার্যত তলানিতে ঠেকেছে। এমন পরিস্থিতিতে মাথায় হাত পড়েছে লেবু চাষিদের। আগামী দিনে দার্জিলিংয়ের রসালো কমলালেবু আদৌ বাজারে মিলবে কিনা তা নিয়েও সংশয় বাড়ছে।

দার্জিলিং পাহাড়ে কমলালেবুর চাষ মূলত হয়ে থাকে মংপু, মিরিক বস্তি, সুখিয়াপোখরি, বিজনবাড়ি, সিটংয়ে। এখন অবশ্য বিজনবাড়ি ব্লকে খুব সামান্যই কমলালেবু বাগান রয়েছে। বেশিরভাগই রোগে নষ্ট হয়েছে। প্রায় একই পরিস্থিতি মিরিক ও সুখিয়াপোখরি এলাকার। মংপুর লাবধা ডিভিশনে এবার ৭৫ শতাংশ কম কমলালেবু উৎপাদন হয়েছে। মংপুর সিঙ্কোনা প্রকল্পের ডিরেক্টর স্যামুয়েল গুরুং বলেন, “আমরা সিঙ্কোনার পাশাপাশি কমলালেবুর চাষ করছি। কিন্তু আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ভাইরাস সংক্রমণের জন্য কমলালেবু বাগান রক্ষা করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তিনি জানান, পাহাড়ের কমলালেবু বাগান রক্ষার উপায় বের করতে গত বছর বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মংপুতে সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এরপর বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মতো আড়াই লক্ষ গ্রাফটিং চারা রোপণ করা হয়েছে। এবার মার্চে আবার সেমিনার করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হবে। সেখানে চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা, নেপালের বিশেষজ্ঞরাও থাকবেন।

মংপুর কমলালেবু চাষি সন্দীপ তামাংয়ের কথায়, “উদ্বেগজনক পরিস্থিতি হয়েছে। উৎপাদন তলানিতে ঠেকেছে। গত বছর যে বাগান ১ লক্ষ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলাম। এবার ফলন কমের জন্য দাম পেয়েছি মাত্র ৫১ হাজার টাকা।” তিনি জানান, বাগানে গাছ আছ, ওষুধও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু লাভ হয়নি। ফলন বাড়েনি। যে ফল গাছে রয়েছে, মহাজনরা সেটাও সময়মতো তুলে নিচ্ছেন না। ডিসেম্বরের মধ্যে বাগানের ফল ছেঁড়া উচিত। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতেও ফল তোলার কাজ চলছে। তাও উৎপাদন কমে আসার অন্যতম কারণ বলে চাষিদের অভিযোগ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *