বিশ্বমঞ্চে সোনালি সাফল্য, তিরন্দাজ সাহিল-শ্রেয়কে নিয়ে উদযাপনে কলকাতা সাই

বিশ্বমঞ্চে সোনালি সাফল্য, তিরন্দাজ সাহিল-শ্রেয়কে নিয়ে উদযাপনে কলকাতা সাই

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: স্পোর্টস অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার তিরন্দাজির জাতীয় উৎকর্ষ কেন্দ্রটি রয়েছে সল্টলেক ক্যাম্পাসে। সেই কেন্দ্রের দুই শিক্ষার্থী সাহিল রাজেশ যাদব ও শ্রেয় ভরদ্বাজ সম্প্রতি সোনালি সাফল্য পেয়েছেন আন্তর্জাতিক তিরন্দাজিতে। কম্পাউন্ড তিরন্দাজ সাহিলের হাত ধরে সোনা ও রুপো এসেছে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় গেমসে। অন্যদিকে, শ্রেয় সোনাজয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন ওয়ার্ল্ড পুলিশ অ্যান্ড ফায়ার গেমসে, রিকার্ভ বিভাগে।

সাহিল আর শ্রেয়, দুই তরুণ তিরন্দাজ এবারই প্রথম কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে অংশ নিয়েছিলেন। আর ঘরের ছেলেদের সেই সাফল্য শুক্রবার উদযাপন করল সাইয়ের কলকাতা কেন্দ্র। সেখানে দুই তিরন্দাজের পাশাপাশি তাঁদের কোচ রিনা কুমারী, হরেশ কুমার, অলিম্পিয়ান তিরন্দাজি বোম্বাইলা দেবী ও মঙ্গল সিং চাম্পিয়া, কলকাতা সাইয়ের ডিরেক্টর অমর জ্যোতি, বিওএ সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরী-সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। জার্মানিতে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় গেমসে ব্যক্তিগত বিভাগে সোনা জয়ের পাশাপাশি দলগত বিভাগে রুপোও পেয়েছেন সাহিল।

ব্যক্তিগত বিভাগের ফাইনালে প্রথম ১৪টি তির চাঁদমারির কেন্দ্রে মারলেও শেষ সুযোগে ৯ পয়েন্ট পান তিনি। এদিন সাইয়ে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, “আমার সোনা জয়ের বিষয়টি একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। বিশ্ব রেকর্ড করার ভাবনা নিয়েই শেষ তিরটা ছুড়েছিলাম। সেই ভাবনার জন্যই মনে হয় ফোকাস একটু নড়ে যায়। পরবর্তীতে এই ভুল শুধরে নেওয়ার উপর জোর দেব। তবে প্রাথমিকভাবে আমার লক্ষ্য ছিল, যতটা সম্ভব সাফল্য পাওয়া। কারণ এটাই দেশের বাইরে আমার প্রথম প্রতিযোগিতা। সেখান থেকে খালি হাতে ফিরতে চাইনি। সেই লক্ষ্য পূরণ হওয়ায় ভালো লাগছে।”

ছোটোবেলায় তিরন্দাজি নয়, সাহিলের উৎসাহ ছিল দাবা নিয়ে। একাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ধনুক হাতে নেন তিনি। অন্যদিকে, বাবা রাজ্যস্তরের বাস্কেটবলার হলেও শ্রেয় চেয়েছিলেন ক্রিকেটার হতে। একদিন হঠাৎ করেই শুরু করেন তিরন্দাজি। তারপর বাইশ গজ ভুলে মনোনিবেশ করেন লক্ষ্যভেদের খেলায়। মার্কিন মুলুকে হওয়া ওয়ার্ল্ড পুলিশ অ্যান্ড ফায়ার গেমসে রিকার্ভের তিন ইভেন্টে সোনা জিতেছেন তিনি। আউটডোর, থ্রিডি এবং ফিল্ডে। তাঁর সংযোজন, “থ্রিডি আর ফিল্ড আর্চারি আমাদের কাছে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং। তবে সেসব সামলে সোনা জিততে পারায় ভালো লাগছে। কারণ প্রথম আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা থেকে খালি হাতে ফিরতে চাইনি।” এখন থেকেই লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিককে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে চাইছেন কলকাতা সাইয়ের এই দুই তিরন্দাজ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *