বিশেষ সংবাদদাতা: বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা প্রাক্তনীদের বিশ্বকাপের টিকিট দেবে না সিএবি! বুধবার এমন জল্পনা ছড়িয়েছিল ক্রিকেটমহলে। তবে রাত বাড়তে জানা গেল, এমন জল্পনা ভিত্তিহীন। নিয়মমাফিক প্রত্যেককেই টিকিট দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ২ মার্চ সিএবি-র বিশেষ সাধারণ সভায় কিছু নিয়ম পরিবর্তন করা হয়। সেই পরিবর্তিত নিয়মেই টিকিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত বদল করা হয়েছিল বলে খবর ছড়ায়।
আগামী বছর টি-২০ বিশ্বকাপের আসর বসবে ভারত এবং শ্রীলঙ্কায়। বেশ কয়েকটি ম্যাচ হতে পারে ইডেন গার্ডেন্সেও। নিয়ম অনুযায়ী, সিএবি আয়োজিত ম্যাচের টিকিট দেওয়া হয় সাম্মানিক সদস্যদের। টিকিট পান লাইফ মেম্বার, অ্যানুয়াল মেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েট মেম্বাররাও। কিন্তু বুধবার দুপুরে আচমকাই খবর ছড়ায়, এই ১১ হাজার সদস্যকে আর আইসিসি টুর্নামেন্টের টিকিট দেওয়া হবে না।
কেন এমন সিদ্ধান্ত? কারণ হিসাবে উঠে আসে সিএবির নিয়ম পরিবর্তনের বিষয়টি। গত ২ মার্চ সিএবির বিশেষ সাধারণ সভায় সংশোধন করা হয় তাদের সংবিধানের ১৭(২) ধারা। ওই ধারাতেই টিকিট বন্টন করা হত সদস্যদের মধ্যে। কিন্তু সেই নিয়ম বদল করে আইসিসি ইভেন্টের টিকিট থেকে অন্তত এগারো হাজার সদস্যকে ‘বঞ্চিত’ করছে সিএবি, এমনটাই খবর ছড়ায়। উল্লেখ্য়, বাংলার হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেললেই সিএবির সাম্মানিক সদস্যপদ মেলে। কিন্তু সেই সদস্যদের আইসিসি টুর্নামেন্টের টিকিট দেওয়া হবে না বলে খবর ছড়ায়। তবে বাংলার যেসমস্ত ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলেছেন তাঁদের টিকিট দেওয়া হবে বলেই শোনা গিয়েছিল।
জল্পনা ছড়াতেই ক্রিকেটমহলে শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। সিএবির এমন সিদ্ধান্ত শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন দুই রনজিজয়ী সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজা বেঙ্কট। তবে গোটা বিষয়টি নিয়ে সিএবির তরফে সরকারিভাবে কিছু জানানো হয়নি। রাত গড়ালে শোনা যায়, টিকিট না দেওয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। আগের মতোই আইসিসি টুর্নামেন্টের টিকিট পাবেন সদস্যরা। এছাড়া অন্যান্য ম্যাচের টিকিটও পাবেন তাঁরা।