অর্ণব দাস, বারাসত: বিশেষভাবে সক্ষম যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিল যুবক। সেই যুবককে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দিল আদালত। ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। দোষী যুবকের নাম মোশারফ হোসেন ওরফে মুসা। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর থানার ফলতি গ্রামে।
ঘটনাটি, ২০২১ সালের বলে জানা গিয়েছে। একই এলাকার বাসিন্দা ওই যুবক ও বিশেষভাবে সক্ষম যুবতী। ফলে দু’জনের মধ্যে পরিচয় ছিল। খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে যুবতীকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল অভিযুক্ত। সেখানেই তাঁকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, কাউকে কিছু বললে প্রাণে মেরে ফেলা হবে! ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে যুবতীকে ভয় দেখানো হয়! ভয়ে বাড়িতে এসে কাউকে কিছু বলেননি ওই তরুণী। এদিকে বেশ কয়েক মাস পরে ওই যুবতীর শারীরিক পরিবর্তন হতে দেখা যায়। সন্দেহ হয় ওই পরিবারের সদস্যদের।
পরে জানা যায় ওই যুবতী সাতমাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। চাপ দিতেই পরিবারের লোকজনকে ঘটনার কথা জানান ওই যুবতী। সেই বছর আগস্ট মাসের ৭তারিখ দত্তপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে গ্রেপ্তার হয় অভিযুক্ত। মামলার তদন্তকারী পুলিশ অফিসার ছিলেন প্রশান্ত পাল। বারাসত আদালতে শুরু হয় মামলা। চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। মোট ২০ জন সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে। তৃতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক শুভঙ্কর বিশ্বাস এদিন ১০ বছরের সাজা শোনালেন। এছাড়াও দোষীর এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।