সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাসতে হাসতে জিতে ডুরান্ড অভিযান শুরু করল ইস্টবেঙ্গল। সাউথ ইউনাইটেড এফসি’কে ৫-০ গোলে হারিয়ে দিলেন অস্কার ব্রুজোর ছেলেরা। ‘সোনালি সময় ফেরাতে’ সমর্থকদের পাশে চেয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। সেই মতো বহু লাল-হলুদ সমর্থক সল্টলেক স্টেডিয়ামে হাজির থেকে দলের জয় দেখলেন।
প্রথম মিনিট থেকেই উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে থাকে ইস্টবেঙ্গল। বলা চলে লাল-হলুদ ঝড়ে একেবারে নাজেহাল হয়ে পড়ে বেঙ্গালুরুর সুপার ডিভিশনের দলটির ডিফেন্স। ৪ মিনিটে সাউথ ইউনাইটেডের বক্সে ভালো জায়গায় পৌঁছে যান এডমন্ড। সাউথ ইউনাইটেডের ডিফেন্স সজাগ থাকায় তখনকার মতো বিপদ হয়নি। ১০ মিনিটে অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটে। ইউনাইটেড গোলকিপারের হাত থেকে বল ফসকে যায়। বল চলে যায় এডমন্ডের কাছে। তিনি জোরাল শটও নেন। কিন্তু দেখা গেল, গোললাইনে দাঁড়িয়ে তাঁরই সতীর্থ ডেভিড। তাঁর গায়ে না লাগলে নিশ্চিতভাবে বল ঢুকে যেত গোলে। এর ঠিক দু’মিনিট পর লালচুংনুঙ্গার দূরপাল্লার বিশ্বমানের শটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
গোলের পর আরও উজ্জীবিত হয়ে খেলতে থাকে মশাল বাহিনী। ১৮ মিনিটে সল ক্রেসপোর হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২১ মিনিটে সুযোগ হারান ডেভিড। ৩৪ মিনিটে ক্রেসপো আবারও মিস করেন। এরপর পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করতে কোনও ভুল করেননি ২৯ বছর বয়সি স্প্যানিশ তারকা ক্রেসপো। ২ গোলে এগিয়ে বিরতিতে যায় লাল-হলুদ।
দ্বিতীয়ার্ধেও চিত্রটা বদলায়নি। ইউনাইডের রক্ষণভাগে মুহুর্মুহু আক্রমণ শানাতে থাকেন লাল-হলুদ ফুটবলাররা। ৬০ মিনিটে আবারও সুযোগ হারায় ইস্টবেঙ্গল। ৬৩ মিনিটে মহেশের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৬৭ মিনিটে রশিদের জোরাল শট পোস্টের পাশ দিয়ে চলে যায়। ৮০ মিনিটে গোল করে ইস্টবেঙ্গলে নিজের অভিষেক স্মরণীয় করে রাখলেন বিপিন সিং। ৮৭ মিনিটে দলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে দেন দিয়ামান্তাকোস। যদিও ইউনাইটেড গোলকিপারের ব্যর্থতা চোখে পড়ে। ৯০ মিনিটে স্কোরলাইন ৫-০ করেন মহেশ।