দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: মাত্র চার মাস আগে বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি সুখের হয়নি! বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে চলত ‘অত্যাচার’। বাপেরবাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত বলে অভিযোগ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষপর্যন্ত নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন ওই তরুণী। শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার হল ওই তরুণীর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ। মৃতের নাম সুজাতা কুমারী (২২)। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরে।
পুলিশ ও মৃতার বাপেরবাড়ির তরফে খবর, সুজাতা কুমারীর সঙ্গে নরেন্দ্রপুরের রেনিয়া অঞ্চলের বাসিন্দা কুন্দনকুমার রায়ের গত চারমাস আগে বিয়ে হয়েছিল। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার পর থেকেই সুজাতার উপর শুরু হয় অত্যাচার। প্রায়ই তাঁকে মারধর করা হত! শুধু তাই নয়, বাপেরবাড়ি থেকে মাঝেমধ্যেই টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হত। সেই কথা না মানলে আরও অত্যাচার হত বলে অভিযোগ।
শনিবার শ্বশুরবাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় ওই গৃহবধূর গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে সুজাতা ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। নরেন্দ্রপুর থানায় মৃতের বাপেরবাড়ির তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী কুন্দনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ, রবিবার ধৃতকে আদালতে তোলা হয়। বিচারক ধৃতকে পাঁচদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে।