সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘভাতা প্রদান নিয়ে আজও নিষ্পত্তি হল না। বৃহস্পতিবার ডিও মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় রাজ্য সরকারকে। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে তার সুযোগ নেওয়া হচ্ছে। শীর্ষ আদালত এও জানায়, আইন মানতে হবে সবপক্ষকে। ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী মঙ্গলবার, ১২ আগস্ট।
চলতি সপ্তাহে প্রতিদিনই ডিএ মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টে। বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্র এবং বিচারপতি সঞ্জয় করোলের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে শুনানি। মামলাকারীদের দাবিমতো কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকার ডিএ দিতে বাধ্য কিনা, তার নিষ্পত্তি অবশ্য এখনও হয়নি। বৃহস্পতিবারও শুনানি ছিল। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের হয়ে সওয়াল করে বর্ষীয়ান আইনজীবী করুণা নন্দী। তাঁর যুক্তি, অল ইন্ডিয়া কনজ়িউমার প্রাইস ইনডেক্স (এআইসিপিআই) না মানলেও কেরল সরকার কর্মচারীদের নিয়মিত ডিএ দিয়েছে। এতেই প্রমাণ হয় যে কেন্দ্রীয় ইনডেক্স না মানলেও ডিএ প্রদান বাধ্যতামূলক। শুনানি চলাকালীন আইনজীবী রউফ রহিমের বক্তব্য, কোনও সুনির্দিষ্ট নীতি ছাড়াই রাজ্য সরকার তাদের খেয়াল খুশি মত ডিএ দিচ্ছে।
রাজ্যের আইনজীবীর তরফে শ্যাম দিওয়ান পালটা সওয়াল করেন, সরকার ডিএ দেওয়ার আগে মূল্যবৃদ্ধির বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। বাজেটের বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। কেন্দ্র আর রাজ্যের নীতি আলাদা। যেহেতু এক্ষেত্রে রাজ্য জড়িত, ফলে রাজ্যের কর্মচারীদের কিসের ভিত্তিতে ডিএ দেওয়া হবে, তা রাজ্যের সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় হারেই ডিএ দিতে হবে, এটা বাধ্যতামূলক নয়। সওয়াল-জবাবের পর বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রর কড়া পর্যবেক্ষণ, এনিয়ে রাজ্য সরকার বিভ্রান্তি তৈরি করে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করেছে৷ কর্মীদের আর্থিক অবস্থার কথাও ভাবতে হবে৷ পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার।