‘বিবাহিত কন্যাও বাবা-মায়ের উত্তরসূরি’, শ্রম দপ্তরের মেমোকে ‘লিঙ্গবৈষম্যমূলক’ বলল হাই কোর্ট

‘বিবাহিত কন্যাও বাবা-মায়ের উত্তরসূরি’, শ্রম দপ্তরের মেমোকে ‘লিঙ্গবৈষম্যমূলক’ বলল হাই কোর্ট

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কন্যা বিবাহিত হলেও তিনি পরিবারের সদস্য হিসাবে বাবা-মায়ের উত্তরসূরি। ফলে তাঁকে তাঁর প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। রাজ্যের শ্রম দপ্তরের জারি করা এক মেমোকে ‘লিঙ্গবৈষম্যমূলক’ বলে আখ্যা দিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট।

আবেদনকারীর আইনজীবী আশীষ কুমার চৌধুরী জানান, বক্রেশ্বর থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ হয়েছিল। জমিহারাদের কিছু বিশেষ সুযোগ-সুবিধার কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য। যার মধ্যে অন্যতম ছিল জমিহারার পরিবারের বেকার সদস্যদের সরকারি চাকরিতে অগ্রাধিকার। সেই অনুযায়ী এক বিবাহিতা কন্যা, যিনি নিজেকে জমিহারা পরিবারের সন্তান হিসেবে দাবি করে সরকারি চাকরির আবেদন জানান। কিন্তু শ্রম দপ্তর জানিয়ে দেয়, বিবাহিতা কন্যারা এই সুবিধা পাবেন না।

শ্রম দপ্তরের জারি করা ওই মেমো চ্যালেঞ্জ করে হাইইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। আশীষ কুমার চৌধুরীর দাবি, রাজ্যের এই সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক ও বৈষম্যমূলক। কোনও দপ্তর বা সরকার লিঙ্গভিত্তিক বঞ্চনা করতে পারে না। তার প্রেক্ষিতে রাজ্যের উদ্দেশে বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, রাজ্য কি নারী ও পুরুষের মধ্যে ভেদাভেদ করতে চায়? একজন সন্তান, তিনি ছেলে হোক বা মেয়ে, বিবাহিত হোক বা না হোক। তাঁকে অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা যায় না, বলেই মত আদালতের।

এরপরই শ্রম দপ্তরের ওই মেমোটি বাতিল করে দেয় আদালত। সিঙ্গল বেঞ্চের রায় চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চেও দ্বারস্থ হয় রাজ্য। কিন্তু রাজ্যের আবেদন খারিজ করে ডিভিশন বেঞ্চও জানিয়ে দেয়, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য নয়, সকল নাগরিকের অধিকার সমান।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *