সুমন করাতি, হুগলি: চুঁচুড়ায় হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল পুরনো বাড়ির একাংশ। বৃষ্টির জলে পুরনো বাড়ির দেওয়াল দুর্বল হয়ে পড়ে। আর তাতেই বৃহস্পতিবার আচমকা দুর্ঘটনা। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। জনবহুল এলাকায় এই ঘটনায় বড় বিপদ ঘটতে পারতো বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।
হুগলির চুঁচুড়ার আখন বাজারে চণ্ডীবাবু লেনের পাশে একটি পুরনো বাড়ি রয়েছে। তার নিচে একটি লন্ড্রি রয়েছে। বাড়িটি অনেকদিন ধরেই ভগ্নপ্রায় অবস্থায় রয়েছে। সেই বাড়ির একাংশে একজন ভাড়াটেও থাকেন। দোতলা বাড়ির বাকি পুরোটাই পরিত্যক্ত। মালিক থাকেন অন্যত্র। যেকোনও সময় সেই বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা ছিলই। স্থানীয় বাসিন্দারা ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুরসভার কাছে আবেদন করেছিলেন বলে খবর। কিন্তু বার বার জানানো সত্ত্বেও পুরসভার তরফ থেকে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।
এসবের মাঝেই বৃহস্পতিবার সকালে হুড়মুড়িয়ে ভাঙে বাড়ি। ঘটনাস্থলে যান স্থানীয় কাউন্সিলর সমীর সরকার ও চুঁচুড়া থানার পুলিশ। গার্ডরেল দিয়ে রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়। কাউন্সিলর বলেন, প্রতিদিন সকালে তিনি ওয়ার্ডে যান। এদিন দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ছুটে যান। তাঁর কথায়, “বাড়িটা যেভাবে ভেঙে পড়ল, নেহাত সকালে রাস্তায় লোক কম থাকেন। আরও বেলায় হলে বহু মানুষ আহত হতে পারতেন। বাড়িটি বাজে অবস্থায় রয়েছে। পুরসভাকে জানানো হয়েছে, তারা পর্যবেক্ষণ করে গিয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” পুরসভাকে জানানোর বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা মালিককে বাড়ি ভাঙার কথা বলেছি। তাঁদের শরিকি সমস্যা রয়েছে। কিন্তু তা আমরা শুনব না। তাঁরা না ভাঙলে আমরা নিজেরাই ভাঙব। আমার কাছে মানুষ আগে।”
কাউন্সিলর জানান, বাড়ির মালিককে নোটিস দিয়ে এই বাড়ির বাকি অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হবে। স্থানীয় মানুষের আশঙ্কা, ভাঙা বাড়ির বাকি অংশ দ্রুত ভেঙে না ফেললে বড় কোনও বিপদ হতে পারে।