বিপত্তারিণী পুজোর লাল সুতোয় কেন বাঁধা হয় ১৩টি গিঁট, জেনে নিন মাহাত্ম্য

বিপত্তারিণী পুজোর লাল সুতোয় কেন বাঁধা হয় ১৩টি গিঁট, জেনে নিন মাহাত্ম্য

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রথযাত্রা থেকে উলটো রথের মধ্যে হয় বিপত্তারণী পুজো। মা দুর্গার ১০৮টি রূপের মধ্যে একটি বিপত্তারণী। হিন্দু শাস্ত্রমতে, এই পুজো করলে সব পাপ দূর হয় ও বিপদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া য়ায়। এই পুজোতে ভক্তরা ১৩ রকম ফুল ও ফল দিয়ে দেবীর ব্রতপালন করেন। পুজোতে একটি লাল সুতো বাঁধারও প্রচলন রয়েছে। সুতোতে ১৩টি গিঁট বাঁধা হয়। এই লাল সুতোর রয়েছে বিশেষ মাহাত্ম্য। জেনে নিন কেন লাল সুতোতে বাঁধা হয় ১৩টি গিঁট? 

বিপত্তারিণী পুজোয় দেওয়া লাল সুতো ভক্তরা হাতে বাঁধেন। সুতোটিতে ১৩টি গিঁট দেওয়া হয়। মনে করা হয়, প্রতিটি গিঁটে দেবী দুর্গা থাকেন। তার সঙ্গে ১৩টি দূর্বাও থাকে। ভক্তদের বিশ্বাস, সুতোটি অমঙ্গল থেকে ভক্তকে দূরে রাখে। অনেকেই এই সুতো সারাবছর হাতে রাখেন। আবার অনেকেই পুজোর তিন দিন পরে নদীতে বা গঙ্গায় ভাসিয়ে দেন।



কী কী উপচার থাকা প্রয়োজন:
ব্রতপালনের সময় উপচার হিসাবে অবশ্যই ১৩টি ফল, ফুল, ১৩টি গিট দেওয়া লাল সুতো এবং দূর্বা থাকা বাধ্যতামূলক। শিষযুক্ত ডাবও থাকা আবশ্যক। অবশ্যই কর্পূর দিয়ে আরাধনা করতে ভুলবেন না।

সংকট মোচনে বিশেষ কয়েকটি নিয়ম মানা প্রয়োজন। নইলে সংকট মোচন সম্ভব নয় বলেই মনে করছেন জ্যোতিষশাস্ত্রবিদরা।

* বিপত্তারিণী ব্রত পালনের দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে স্নান সেরে নিন। শুদ্ধ বস্ত্র পরুন। লাল রঙের পোশাক পরতে পারলে সবচেয়ে ভালো।
* ব্রত পালনকারীরা মূলত উপবাস করে থাকেন। তবে কোনওরকম শারীরিক অসুস্থতা থাকলে উপবাস করবেন না।
* ব্রতপালনের সময় অবশ্যই পুষ্পাঞ্জলি দিন। ব্রতকথা শুনুন।
* এদিন ব্রতপালনকারীরা ভাত খান না। আমিষ খাবারও খান না। নিরামিষ খাবার খেতে হবে।
* এদিন ১৩টি লুচি খেতে খেবে। মনে রাখবেন তেরোর বেশি বা কম হলে চলবে না। *বিপত্তারিণী পুজোর দিন ভুলেও কাউকে চিনি ধার দেবেন না।
* কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবেন না।
* খুদেদের খাবার দিতে পারলে খুবই ভালো হয়।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *