বিনা অপরাধে কাতারে বন্দি ভারতীয় ইঞ্জিনিয়র! প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল উদ্বিগ্ন পরিবার

বিনা অপরাধে কাতারে বন্দি ভারতীয় ইঞ্জিনিয়র! প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চাইল উদ্বিগ্ন পরিবার

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিনা অপরাধে কাতারের জেলে তিনমাস ধরে বন্দি ভারতীয় ইঞ্জিনিয়র! এমনই অভিযোগে, অমিত গুপ্ত নামে ওই ইঞ্জিনিয়রের মুক্তির দাবিতে খোদ প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হল পরিবার। জানা যাচ্ছে, গত ১ জানুয়ারি আটক করা হয় অমিতকে। ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জগঠন করা হয়নি অন্যায়ভাবে জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনায় কাতার প্রশাসন, ইঞ্জিনিয়রের পরিবার ও আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে ভারতীয় দূতাবাস।

২০১৩ সালের আগস্ট মাসে আইটি ফার্ম টেক মাহিন্দ্রার কর্মী হিসেবে কাতারে গিয়েছিলেন গুজরাটের ভদোদরার বাসিন্দা অমিত। তখন থেকে সেখানেই রয়েছেন তিনি। অভিযোগ, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি খাবার খাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন অমিত। তখনই কাতারের নিরাপত্তাবাহিনী তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। সেই ঘটনার পর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও কাতার প্রশাসনের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এমনকি অমিতের বিরুদ্ধে কোনও রকম বিচারপ্রক্রিয়াও শুরু করা হয়নি। অভিযোগ অন্যায়ভাবে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে তাঁকে। যদিও অন্য সূত্র থেকে দাবি করা হচ্ছে, তথ্য চুরির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁকে।

অমিতের স্ত্রী অনুষ্কা গুপ্ত বলেন, “গত ১ জানুয়ারি এক রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ার সময় অমিতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তারপর কোনও অজ্ঞাত কারাগারে তাঁকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। অমিত আমাদের পরিবারের একমাত্র অবলম্বন। কোনও অভিযোগ ছাড়াই এতদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে তাঁকে। এই ঘটনার পর আমরা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, বিদেশমন্ত্রক ও দূতাবাসের কাছে আবেদন জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সাড়া পাইনি।”

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে এলাকার বিজেপি সাংসদ হেমাঙ্গ যোশী বলেন, কাতার প্রশাসন অন্যায়ভাবে অমিতকে আটক করে রেখেছে। অমিতের বাবা-মা ছেলের সঙ্গে দেখা করতে এক মাসের জন্য কাতারে গিয়েছিলেন। তবে দীর্ঘ চেষ্টার পরও তাঁদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি। এই অবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন অমিতের পরিবার। যদিও গোটা ঘটনায় সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কাতারের ভারতীয় দূতাবাস বিষয়টি সম্পর্কে অবগত। ওই পরিবার ও আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে দূতাবাসের তরফে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *