বিতর্ক থামাবে ‘গোল্ডেন শ্যাসি’? এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের তথ্য উদ্ধারে মার্কিন প্রযুক্তি

বিতর্ক থামাবে ‘গোল্ডেন শ্যাসি’? এয়ার ইন্ডিয়ার দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের তথ্য উদ্ধারে মার্কিন প্রযুক্তি

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি। প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। বিমানের জ্বালানির সুইচ বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি মানতে নারাজ পাইলটদের সংগঠন এয়ারলাইন পাইলট অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া (আলপা)। এই অবস্থায় পথ দেখাতে পারে দুর্ঘটনাগ্রস্ত এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির ব্ল্যাক বক্সের বিস্তারিত রিপোর্ট। ইতিমধ্যে প্রায় ৪৯ ঘণ্টার উড়ানের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ১২ জুনের দুর্ঘটনার সময়কার তথ্যও। সেই তথ্য সংগ্রহ করতে বিমান দুর্ঘটনা তদন্তকারী ব্যুরো (এএআইবি)-কে সাহায্য করেছে আমেরিকার সরকারি তদন্তকারী সংস্থার থেকে আনা ‘গোল্ডেন শ্যাসি’। কী এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’?

‘গোল্ডেন শ্যাসি’-কে ম্যাজিক প্রযুক্তি বললে ভুল বলা হয় না। কারণ সে ক্ষতিগ্রস্ত ‘এনহ্যান্সড এয়ারবর্ন ফ্লাইট রেকর্ডারস’ ওরফে ব্ল্যাকবক্স থেকে তথ্য সংগ্রহের ক্ষমতা রাখে। প্রযুক্তির ভাষায় এটি এক ধরনের ‘রেকর্ডিং ইউনিট’। ভারতের তদন্তকারী সংস্থাটি জানিয়েছে, এই ‘গোল্ডেন শ্যাসি’ এবং প্রয়োজনীয় কেবল দিয়েছে আমেরিকার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)।

এএআইবি প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ‘গোল্ডেন শ্যাসি’-র ব্যবহারে যে ৪৯ ঘণ্টার উড়ানের ডেটা উদ্ধার হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ছয়টি উড়ানের তথ্য। বলা বাহুল্য, সর্বশেষ উড়ানটি আহমেদাবাদের উড়ানের। দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট বলছে, দুর্ঘটনার ঠিক আগের মুহূর্তে দুই ইঞ্জিনের জ্বালানিই ‘রান’ (চালু) থেকে কাটঅফ (বন্ধ) মুডে চলে যায়। ইঞ্জিন বন্ধের ঠিক আগের মুহূর্তে একজন পাইলট অপরজনকে বলেন, ‘ইঞ্জিন বন্ধ করলে কেন?’ অপর পাইলট জবাব দেন, ‘আমি কিছু বন্ধ করিনি।’

ইঞ্জিন বন্ধের পর জরুরি ভিত্তিতে RAT (র‍্যাম এয়ার টার্বাইন) চালু করা হয়। এই RAT ইঞ্জিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়। বিমান ওড়ার সময়ে জ্বালানি ঠিকঠাক ছিল। বিমান ওড়ার সময়ে ফ্ল্যাপ সেটিং এবং গিয়ারের অবস্থাও স্বাভাবিক ছিল। সেগুলি সঠিকভাবে পরীক্ষাও করা হয়। সব মিলিয়ে যা যা প্রাথমিক রিপোর্টে এসেছে তাতে বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগের থেকে পাইলটদের ভুলের দিকেই ইঙ্গিত করা হয়েছে। এর ফলেই বিতর্ক শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে ‘গোল্ডেন শ্যাসি’র সাহায্যে বিস্তারিত রিপোর্টে সমস্ত জল্পনার অবসান হতে পারে। 

প্রসঙ্গত, ১২ জুন আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণ পরেই মেঘানিনগরে লোকালয়ে ভেঙে পড়ে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ বিমানটি। ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছিল ২৬০ জনের। তাঁদের মধ্যে ২৪১ জন সওয়ার ছিলেন বিমানে। 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *