সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপির বি টিম তকমা সরাতে মরিয়া আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। এই প্রথমবার হায়দরাবাদের সাংসদ সরাসরি ইন্ডিয়া জোটে শামিল হওয়ার আর্জি জানালেন। বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বে ইন্ডিয়া জোটের ব্যানারে লড়াই করার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে ওয়েইসির দল। সূত্রের দাবি, AIMIM-কে মহাজোটে শামিল করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে ভাবছে আরজেডি।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ওয়েইসি বলছেন, “বিহারে এনডিএ ফের ক্ষমতায় আসুক সেটা আমরা চাই না। আমরা মহাজোটের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছি। আমার দলের রাজ্য সভাপতি আখতারুল ইমাম জোট নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জোট প্রস্তাব দিয়েছেন।” যদিও কংগ্রেস ও আরজেডির উপর পরোক্ষে চাপ সৃষ্টিরও চেষ্টা করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ। ওয়েইসির বক্তব্য, “এবার পুরো সিদ্ধান্ত সেই সব দলের যারা এনডিএ বিরোধী। ওরা যদি আমাদের হাত ধরতে রাজি থাকে তাহলে একসঙ্গে লড়াই হবে। নাহলে আমরা সব আসনে লড়তে রাজি আছি।”
২০২০ বিধানসভায় বিহারে আচমকায় শক্তিশালী পক্ষ হিসাবে উঠে আসে AIMIM। সীমাঞ্চল এলাকায় ৫টি বিধানসভা আসনে জয়ী হয় ওয়েইসির দল। একাধিক আসনে তাঁদের প্রাপ্ত ভোটই হারজিতের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। যদিও পরে AIMIM-এর পাঁচ বিধায়কের চারজনই আরজেডিতে যোগ দেন। একমাত্র অবশিষ্ট বিধায়ক আখতারুল ইমামই এখন মিমের রাজ্য সভাপতি। তিনি প্রকাশ্যেই বলেছেন, “আমরা আরজেডির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। বিহার বিধানসভায় একসঙ্গে লড়তে আমরা আগ্রহী।”
সূত্রের দাবি, এআইএমআইএমকে ইন্ডিয়া জোটে নিলে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যে সুবিধা হবে সেটা মানেন তেজস্বী যাদবও। কংগ্রেসও ওয়েইসির দলকে জোটে নিতে মোটামুটি রাজি। সমস্যা হল বাম দলগুলিকে নিয়ে। তারা আদর্শগত জায়গা থেকে কোনওভাবেই AIMIM-কে জোটে নিতে নারাজ। তাছাড়া আসন সমঝোতার ক্ষেত্রেও সমস্যার জায়গা আছে। AIMIM সীমাঞ্চলে মুসলিম অধ্যুষিত ২৪ আসনে লড়তে চায়, সেখানে আরজেডি ৮-৯টির বেশি আসন ছাড়তে নারাজ। আবার যে আসনগুলিতে AIMIM লড়তে চাইছে, সেগুলি কংগ্রেসের আসন। তবে মতাদর্শগত সমস্যা মিটে গেলে আসন সমঝোতাটা সমস্যার কারণ হবে না বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।