বিচ্ছেদের শাস্তি! মাকে শিক্ষা দিতে ছেলেকে ‘খুন’, গুণধর প্রেমিককে যাবজ্জীবন চুঁচুড়া আদালতের

বিচ্ছেদের শাস্তি! মাকে শিক্ষা দিতে ছেলেকে ‘খুন’, গুণধর প্রেমিককে যাবজ্জীবন চুঁচুড়া আদালতের

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সুমন করাতি, হুগলি: বিস্কুট কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিকার ছেলেকে খুন। দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দিল চুঁচুড়া আদালত। গত সোমবার চুঁচুড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মা অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন।

আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত নাবালকের নাম সৌমজিৎ দাস। তার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপর ব্যান্ডেলের লিচুবাগান এলাকার বাসিন্দা ফ্রিজ মিস্ত্রি অরবিন্দ তাঁতি সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি মৃতের মায়ের। একসঙ্গে ব্যান্ডেল লালবাবা আশ্রমে ভাড়া থাকতে শুরু করেন তাঁরা। কিছুদিন পর থেকেই অশান্তি শুরু হয় তাঁদের মধ্যে। ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর লালবাবা আশ্রমের ভাড়া বাড়ি ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে হুগলি ৩ নং কৃষ্ণপুরে মায়ের বাড়িতে চলে যান ওই মহিলা। সেখানে গিয়েও অশান্তি করে অভিযুক্ত। এরপর ৬ জানুয়ারি সন্ধ্যায় সৌম্যজিৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। পরদিন হুগলি স্টেশন লাগোয়া রেললাইনের কাছে একটি মন্দিরের পাশে কিশোরের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এরপর গ্রেপ্তার হয় দোষী।

ওই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন প্রসেনজিৎ ঘোষ। ফেব্রুয়ারির ২৮ তারিখে চার্জশিট জমা দেন তিনি। সরকারি আইনজীবী ছিলেন সুব্রত ভট্টাচার্য। গত সোমবার চুঁচুড়া আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক সঞ্জয় শর্মা অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। বুধবার তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের ঘোষণা করেন বিচারক। ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও দশ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে অতিরিক্ত ছয় মাস জেল, ২০১ ধারায় জেল, দুই হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিনমাস জেলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। হুগলি জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর শংকর গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, চুঁচুড়া আদালতে একের পর এক সাজা হচ্ছে। পুলিশ সঠিক তদন্ত করছে। সরকারি আইনজীবীরা সঠিকভাবে মামলা লড়ছেন বলেই এটা সম্ভব হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *