বিচার চাইতে গিয়ে আক্রান্ত, থানাতেই যুবতীর উপর অ্যাসিড হামলা প্রাক্তন স্বামীর!

বিচার চাইতে গিয়ে আক্রান্ত, থানাতেই যুবতীর উপর অ্যাসিড হামলা প্রাক্তন স্বামীর!

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


নন্দন দত্ত, সিউড়ি: বিচার চাইতে এসে থানার ভিতর অ্যাসিড আক্রান্ত হলেন যুবতী। রবিবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে রামপুরহাট থানায়। পুলিশ হেফাজতেই এমন ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ, ওই যুবতীর উপর অ্যাসিড হামলা চালিয়েছেন তাঁরই প্রাক্তন স্বামী। খোদ থানায় এমন ঘটনা ঘটায় নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারের দুই বোনের ছেলে ও মেয়ের মধ্যে বিয়ে হয়েছিল বেশ কয়েক বছর আগে। কিন্তু ওই যুবক মানসিক ভারসাম্য হওয়ার অভিযোগ তুলে মাসির ছেলের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ করে দেন নির্যাতিতা যুবতী। অ্যাসিড আক্রান্ত গৃহবধূর মায়ের দাবি, আমরা বুঝতে পারিনি আমার মেজদির ছেলে পাগল। পরে সবাই মিলে বসে বিবাহবিচ্ছেদ করিয়ে নেই। আমার মেয়ের আবার অন্যত্র বিয়ে দিই। কিন্তু সেখানেও আমার দিদির ছেলে ঝামেলা অশান্তি শুরু করে। এদিকে আমার দিদির কাছে আমার বাবা-মা থাকেন। তাদের উপরও নৃশংস অত্যাচার চলাচ্ছিল দিদির ছেলে। রবিবার বাবা মাকে দেখতে সবাই মিলে দিদির বাড়িতে আসি। তখনই আমাদের উপর আক্রমণ করে ও। সেই ঘটনার অভিযোগ জানাতে সন্ধ্যায় পরিবারের সকলে মিলে রামপুরহাট থানায় যান। সেখানেই অ্যাসিড হামলা চালায় অভিযুক্ত।

ওই গৃহবধূর দাদার দাবি, থানায় তখন তিনজন কনস্টেবল ও মহুরি ছিলেন। আমার মায়ের মোবাইল ভেঙেছে, মেরেছে। তার হাসপাতালে ইনজুরি রিপোর্ট করতে মেডিক্যাল কলেজে পাঠিয়েছিল পুলিশ। থানার ভিতর বসেছিলেন গৃহবধু। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সেখানেই ওই গৃহবধূর আগের স্বামী তাঁর মায়ের সঙ্গে আসে, তারই নির্দেশে থানার মধ্যে গৃহবধূর মুখে অ্যাসিড ছুঁড়ে পালায় অভিযুক্ত। এই ঘটনায় গৃহবধূর বর্তমান স্বামী জানিয়েছেন, আমার স্ত্রীকে থানায় পুলিশ হেফাজতে রেখেও নিশ্চিত হতে পারলাম না।

পুলিশের তরফে জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ সুপার আইপিএস আমানদীপ জানান, ” ছেলেটা থানার ভেতরে অভিযোগ করবে বলে ঢুকেছিল। ঢুকেই এইরকম একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিল। সঙ্গে সঙ্গেই ওকে ধরা হয়েছে” 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *