বিক্রম রায়, কোচবিহার: সাম্প্রতিক সময়ে তাঁর একের পর এক মন্তব্য বিপাকে ফেলেছে বিজেপিকে। বিক্ষুব্ধ সেই রাজ্যসভা সাংসদ নগেন্দ্র রায়কে (অনন্ত মহারাজ) এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভায় আমন্ত্রণ জানাল বিজেপি। দলের সঙ্গে গ্রেটার কোচবিহারের নেতার দূরত্ব কম করতে আলিপুরদুয়ারে সাংসদ মনোজ টিগ্গা অনন্ত মহারাজকে ফোন করেছেন। শুধু তাই নয়, বিজেপির জেলা সভাপতিও রাজ্যসভা সাংসদকে বৃহস্পতিবারের সেই সভায় যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
তবে তাতেও গলছে না বরফ। কেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই ধরনের কর্মসূচির বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কোনও কথা বলেননি তা নিয়ে বেজায় ক্ষুব্ধ অনন্ত মহারাজ। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সভায় তিনি উপস্থিত থাকার বিষয়টি বিবেচনাধীন রেখেছেন। তবে গ্রেটার সমর্থকরা যে সেখানে যাচ্ছেন না তা তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
বিজেপির রাজ্যসভা সাংসদ তথা গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজ বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার জন্য বিজেপির আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মনোজ টিগ্গা ফোন করেছিলেন। বিজেপির জেলা সভাপতির সঙ্গেও কথা হয়েছে। তবে এটা প্রোটোকল হতে পারেনা। যারা ফোন করেছেন, তাঁদের থেকে আমি অনেকটাই সিনিয়র। স্বাভাবিকভাবে অন্তত রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতৃত্বদের যোগাযোগ করা উচিত ছিল। সেটা করা হয়নি। তবু প্রধানমন্ত্রীর সভা বলে আমি বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। স্বাভাবিকভাবে তাদের নিয়ে যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।”
আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রীর মোদির জনসভাকে কেন্দ্র করে কোচবিহার জেলাতেও বিজেপির নেতৃত্বরা শুরু করেছেন প্রস্তুতি। গোটা জেলা থেকে কয়েক হাজার কর্মী সমর্থকদের সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং তার জন্য প্রতিটি মণ্ডল স্তরে বৈঠক করার কাজ চলছে। তবে সেই কাজগুলো নিয়েও অনন্ত মহারাজকে অন্ধকারে রাখা হয়েছে বলেই তার অনুগামীদের দাবি। স্বাভাবিকভাবে ক্ষুদ্ধ সেই রাজ্যসভা সাংসদকে প্রধানমন্ত্রীর সভায় যাওয়ার আবেদন জানানো হলেও তার সঙ্গে যে বিজেপির রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বের দূরত্ব কমছে না তা একপ্রকার নিশ্চিত। যদিও গোটা বিষয়ে কোচবিহার জেলা বিজেপির সভাপতি অভিজিৎ বর্মন বলেন, “রাজ্যসভার সাংসদ অনন্ত মহারাজের বিষয়টি রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেখছেন। তাই যা বলার তারাই বলতে পারবেন।”