সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: যৌথ বাহিনীর গুলিতে সংগঠনের মহাসচিবের মৃত্যুর প্রতিবাদে ৩ অগাস্ট পাঁচ রাজ্যে বন্ধের ডাক দিল সিপিআই (মাওবাদী)। বিহার, ঝাড়খণ্ড, উত্তর ছত্তিশগড়, অসমে আঁচ বুঝতে ওই তালিকায় নাম রয়েছে বাংলারও।
সিপিআই (মাওবাদী)-র মহাসচিব বাসবরাজ ওরফে নম্বালা কেশবরাও-র মৃত্যুর ঘটনায় আগামী ৩ অগাষ্ট এই বন্ধের আহ্বান। এই বন্ধের আহ্বান করে প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে সিপিআই (মাওবাদী)র পূর্ব রিজিওনাল ব্যুরোর মুখপাত্র সঙ্কেত। এদিকে ২৮ জুলাই থেকে ৩ অগাস্ট সিপিআই (মাওবাদী)-দের শহিদ সপ্তাহও রয়েছে। ওই শহিদ সপ্তাহের শেষ দিন বন্ধের আহ্বান। তাছাড়া ওই প্রেস বিবৃতিতেই উল্লেখ রয়েছে, শহিদ সপ্তাহ পালনের। ২০২৬ সালের মার্চের মধ্যে মাওবাদীদেরকে নির্মূল করার ডাক দেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার প্রেক্ষিতেই মাও উপদ্রুত রাজ্যগুলিতে ব্যাপকভাবে মাওবাদী দমন অভিযান চলছে। ছত্তিশগড়ের পাশাপাশি বাংলা ছুঁয়ে থাকা পড়শি রাজ্য ঝাড়খণ্ডেও ধারাবাহিক অভিযান হচ্ছে। ফলে উপদ্রুত রাজ্যগুলিতে একেবারে কোনঠাসা হয়ে গিয়েছে মাওবাদীরা।
রাজ্যে পালাবদলের পরেও জঙ্গলমহল পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রামে মাওবাদীদের যে স্কোয়াডগুলি ছিল তাদের নেতা-নেত্রীদের অনেকেই এখনও সমাজের মূল স্রোতে আসেননি। তারা ঝাড়খন্ডেই গা ঢাকা দিয়ে রয়েছে। সেখানেই সংগঠনের কাজ চালাচ্ছে। সীমানা দিয়ে বাংলায় আসার চেষ্টা করলেও যৌথ বাহিনীর নজরদারি ও রুটিন অভিযানে কিছুতেই প্রবেশ করতে পারছে না। তাছাড়া মাও কার্যকলাপ চালিয়ে যাওয়ার জন্য এ রাজ্যে তাদের জনভিত্তিও নেই। বর্তমানে বাংলা মাওবাদী উপদ্রুত না হলেও শুধুমাত্র আঁচ বোঝার জন্যই ওই বনধের তালিকায় বাংলাকে রাখা হয় বলে মনে করছে রাজ্য পুলিশ। তবে এ রাজ্যের শহরাঞ্চলে মাওবাদীদের কার্যকলাপ যে চলছে না তা সম্পূর্ণভাবে উড়িয়ে দিতে পারছে না পুলিশ। ফলে শহিদ সপ্তাহ ও বন্ধকে ঘিরে জঙ্গলমহলে বাড়তি সতর্কতার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ।