অর্ণব দাস, বারাকপুর: সিট গঠন করে আন্তঃরাজ্য গাড়ি পাচার চক্রের কিনারা করল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। ঝাড়খণ্ড থেকে উদ্ধার হল সাতটি গাড়ি। গ্রেপ্তার করা হল চারজনকে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার খুব ভোরে ঘোলা থানার পুলিশ পেট্রলিংয়ের সময় বোর্ডঘর এলাকায় লক্ষ্য করার একজন একটি গাড়িতে বসে সন্দেহজনক কিছু করছে। পুলিশকে দেখে সে পালনের চেষ্টা করলে তাকে ধরা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসা জানা যায়, তাঁর নাম আতর শেখ। বাড়ি মালদহে। সে গাড়ি চুরির চেষ্টা করছিল জানালে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়ির মালিক অভিযোগ জানালে আতকর গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসা করে সে জানায় তার দলের অনেকে গাড়ি চুরির সঙ্গে জড়িত। বিগত তিনমাসে বারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত অনেক থানা এলাকা থেকেই তাদের গ্যাং গাড়ি চুরি করেছে। এরপরই ঘোলা, নিমতা, মোহনপুর ও বাসুদেবপুর থানাকে সিট গঠন করে তদন্তে নেমে ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ জেলার রাঙ্গা থানা এলাকার অভিযান চালানো হয়। সেখানেই উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া সাতটি গাড়ি।
একইসঙ্গে রাঙ্গা থানা এলাকার বাসিন্দা রামপ্রসাদ সাহা ও অমিত সাহাকেও গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের থেকেই ফারাক্কার বাসিন্দা সামসুদ্দিন শেখ ওরফে মাসুদের নাম জানতে পেরে তাকে গ্রেপ্তার করে মোহনপুর থানার পুলিশ। শুক্রবারে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সেন্ট্রাল) ইন্দ্রবদন ঝাঁ বলেন, “এখনও পর্যন্ত মালবাহী ছোট সাতটি গাড়ি উদ্ধার হয়েছে। এরমধ্যে পাঁচটি গাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে। গাড়িগুলি নিমতা, বাসুদেবপুর, খড়দহ, নিউ বারাকপুর এবং বাগুইআটি থানায় এলাকা থেকে চুরির অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তিনটি গাড়ির নম্বর প্লেট বদলে ঝাড়খণ্ডের নম্বর প্লেট লাগানো হয়েছিল। তিনটি গাড়িতে কোন নম্বর প্লেট ছিল না, একটি গাড়িতে আগের নম্বর প্লেট ছিল। আগামী দিনে আরও গাড়ি উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”