সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মণীশ বিসি। কিন্তু তাঁর ফোনে সমানে কল করে চলেছেন বিরাট কোহলি, এবি ডি’ভিলিয়ার্স! প্রথমটায় মণীশ ভেবেছিলেন, বন্ধুরা ঠাট্টা-ইয়ার্কির ছলে নাম ভাঁড়িয়ে ফোন করছেন। কিন্তু তেমনটা মোটেই নয়! বাস্তবিকই বিশ্বের তাবড় ক্রিকেটাররা ফোন করছেন ছত্তিশগড়ের প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দাকে। কিন্তু কেন?
ছত্তিশগড়ের মাদাগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মণীশ। তাঁর বাবা গজেন্দ্র পেশায় কৃষক। মাসখানেক আগে নতুন একটি সিম নেন মণীশ। তারপর থেকেই ‘সমস্যা’ শুরু। একদিন হঠাৎ মণীশের কাছে অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। উলটোদিকের ব্যক্তি নিজের পরিচয় দেন বিরাট কোহলি হিসাবে। প্রথমটা চমকে গেলেও মণীশের ধারণা হয়, তাঁর বন্ধুরা মজা করে এমনটা করছেন। তাই বন্ধু ভেবে বিরাটের সঙ্গেও পালটা মশকরা করে বসেন ছত্তিশগড়ের যুবক ও তাঁর বন্ধু খেমরাজ।
কেবল বিরাটেই শেষ নয়। পরবর্তীকালে ডি’ভিলিয়ার্স, তারকা পেসার যশ দয়ালেরও ফোন পান মণীশ। একইভাবে তাঁদের সঙ্গেও মজার ছলে কথা বলে বিষয়টি উড়িয়ে দেন। এভাবে বেশ কয়েকদিন চলার পর মণীশকে ফোন করেন আরসিবি অধিনায়ক রজত পাটিদার। তিনি বলেন, মণীশ যে সিমটি ব্যবহার করছেন সেটা আসলে তাঁর। তাই মণীশ যেন সিমটি ফেরত দেন। সেটাও প্রথমে বিশ্বাস করেননি ছত্তিশগড়ের যুবক। পরে পুলিশ এসে বোঝায়, মোটেই মশকরা নয়। আদতেই ওই সিমটি রজতের ছিল। তবে ৯০ দিন ওই সিম ব্যবহার করেননি তিনি। তাই নতুন গ্রাহক অর্থাৎ মণীশকে ওই সিম দেওয়া হয়েছে।
গোটা ঘটনাটিকে সিনেমার মতো লাগছে মণীশ এবং তাঁর পরিচিতদের। খেমরাজ বলেন, “আমি কোনওদিন ভাবিনি বিরাটের সঙ্গে কথা বলব। ডিভিলিয়ার্স ইংরাজিতে কথা বললেন, কিছু বুঝতে পারিনি কিন্তু দারুণ লেগেছিল। আসলে মণীশের কাছে ফোন এলেই ও আমাকে ধরিয়ে দিত।” তবে মোবাইল কোম্পানির সামান্য ভুলে আজ গোটা গ্রামে খুশির হাওয়া।