‘বাবা-মা ক্ষমা করো’, পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে ‘আত্মঘাতী’ ছাত্রী

‘বাবা-মা ক্ষমা করো’, পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে ‘আত্মঘাতী’ ছাত্রী

স্বাস্থ্য/HEALTH
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি তরুণী। পরিবারকে সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি। বুধবার সকাল পর্যন্ত সব ঠিকই ছিল। কিন্তু সেদিন রাতেই হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার তাঁর ঝুলন্ত দেহ। পাশেই উদ্ধার হয়েছে সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, ‘মা-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও। আমি তোমাদের আশা পূরণ করতে পারলাম না।’

বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে। মৃত তরুণীর নাম অদিতি মিশ্র। আঠারো বয়সি তরুণী উত্তরপ্রদেশের সন্ত কবিরনগর জেলার বাসিন্দা। দুবছর ধরে গোরক্ষপুরে মোমেন্টাম কোচিং সেন্টারে ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। স্থানীয় একটি হস্টেলে রুম শেয়ার করে থাকছিলেন তিনি। পরীক্ষা ফলপ্রকাশের পর অদিতি ফেল করার কথা পরিবারকে জানান। সেই সময় তিনি খুব হতাশ ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা-মা।

ঘটনার দিন রুমেই ছিলেন অদিতির বান্ধবী। তবে কিছুক্ষণের জন্য হস্টেলের রুম থেকে বেরন তিনি। ফিরে এসে দেখেন দরজা ভিতর থেকে বন্ধ। তিনি উঁকি মেরে দেখেন গলায় ফাঁস দিয়েছেন অদিতি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বিষয়টি জানান হস্টেল কর্তৃপক্ষকে। তারা খবর দেন পুলিশে।

দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। সেখানে লেখা, ‘মা-বাবা আমাকে ক্ষমা করে দিও, আমাদের সম্পর্কের এখানেই শেষ। তোমরা চোখের জল ফেলবা না। তোমরা আমাকে অনেক ভালোবাসা দিয়েছ। আমি তোমাদের স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি। ছোট বোনের খেয়াল রেখো। ও তোমাদের স্বপ্ন পূরণ করবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।’ খবর পেয়ে গোরক্ষপুর এসেছেন মৃতের পরিবার। অভিনব ত্যাগী জেলা পুলিশ সুপার বলেন, “মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। তদন্ত চলছে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *