সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমির খানের ‘সিতারে জমিন পর’ ছবি নিয়ে যেন জটিলতার অন্ত নেই। সেন্সর বোর্ডের কাঁচির ঘায়ে জর্জরিত ছবিটি। সূত্রের খবর, কমপক্ষে পাঁচটি বদল করতে বলা হয় ছবি নির্মাতাকে। সেই অনুযায়ী পরিবর্তনও নাকি করা হয়েছে। আর তারপরই ছবি মুক্তির সবুজ সংকেত পেয়েছে।
আগামী ২০ জুন মুক্তি পাবে ‘সিতারে জমিন পর’। আরএস প্রসন্নর এই ছবিতে গত সোমবার কাঁচি চালায় সেন্সর বোর্ড। সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের কথা বললেও তাতে রাজি হননি প্রযোজক। যদিও পরে রিভাইজিং কমিটি বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের কথা বলে। সূত্রের খবর, ছবিতে দেওয়া ডিসক্লেমারটিকে বদলাতে বলা হয়। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভয়েস ওভার ব্যবহার করতে হবে। ‘বিজনেস ওম্যান’ শব্দটি বদলে ‘বিজনেস পার্সন’ করতে হবে। ‘মাইকেল জ্যাকসন’-এর বদলে ‘লাভবার্ডস’ করতে হবে। বাদ দিতে হবে ‘কমল’ শব্দ। কী কারণে এই পরিবর্তন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছিল আমিরের ‘লাল সিং চাড্ডা’। ‘সিতারে জমিন পর’ সেই খরা কাটিয়ে আশার আলো দেখাবে বলেই মনে করছেন অভিনেতা। বলিউড সূত্রের খবর, ছবি ওটিটিতে মুক্তির প্রস্তাব পেয়েছিলেন আমির। ছবির স্বত্ত্ব নাকি আমাজন প্রাইম কিনতে চেয়েছিল। তার বিনিময়ে ১২০ কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল ওই সংস্থা। তবে তাতে নাকি রাজি হননি আমির। পরিবর্তে প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেন। তবে সিনে বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্তের ফলে মুক্তির আগে নাকি লোকসানই করে বসেছেন ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। কথায় বলে, হাতের লক্ষ্মী পায়ে ঠ্যালা। ‘সিতারে জমিন পর’ ছবি মুক্তির আগে সিনে বিশ্লেষকদের মতে যেন সে দশাই হল আমির খানের। এবার দেখা যাক, ছবি কতটা মন জয় করতে পারে দর্শকদের।