বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: ভোটার তালিকা সংশোধন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্তা ও অপারেশন সিঁদুর-সহ একাধিক ইস্যুতে মোদি সরকারকে চেপে ধরার কৌশল ঠিক করতে শনিবার ভারচুয়াল বৈঠক করবে ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে থাকার কথা দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে ইন্ডিয়া জোট থেকে পাকাপাকিভাবে বেরিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আপের। আবার মোদি সরকার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে দিয়ে যেভাবে গান্ধী পরিবারের ওপর আক্রমণ শানিয়ে আনছে পানীয় তা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হতে পরে বলে সূত্রের খবর।
লোকসভা ভোটের পর কিছুটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়া ইন্ডিয়া জোট আবার সক্রিয় হচ্ছে। সেই জল্পনাই ফের উসকে দিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় হতে চলেছে জোটের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠক। তবে বৈঠক ভারচুয়ালই হবে বলে জানা গিয়েছে। এই বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছে কংগ্রেস। আলোচনার মূল বিষয়, সংসদের বাদল অধিবেশনে যৌথ কৌশল এবং দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি। প্রথমে ঠিক হয়েছিল এই বৈঠক হবে দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাসভবনে। কিন্তু অনেক নেতা দিল্লি পৌঁছতে পারবেন না বলে জানান। তাই সিদ্ধান্ত বদলে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত হয়। এই বৈঠকে অনলাইনেই অংশ নিচ্ছেন তৃণমূলের তরফে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, শিবসেনা উদ্ধব গোষ্ঠীর উদ্ধব ঠাকরে, ডিএমকের এম কে স্ট্যালিন, আরজেডির তেজস্বী যাদব ছাড়াও বাম দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব।
তবে আম আদমি পার্টি এই বৈঠকে থাকবে কিনা, তা এখনও নিশ্চিত নয়। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের তরফে যোগাযোগ করা হলেও আপ এখনও পর্যন্ত কোনও পরিষ্কার বার্তা দেয়নি। দলের সাংসদ সঞ্জয় সঞ্জয় সিং জানান, লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছিল। এখন এই জোটের কোনও প্রাসঙ্গিকতা নেই। তাই আপিল কোন সদস্য ইন্ডিয়া জোটে সামিল হবে না। রাজনৈতিক মহলের মতে, দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি হয় আপের। এমনকি বিভিন্ন সময় গুজরাট ও পাঞ্জাবে গিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকে সরাসরি আক্রমণ করেন আদমি পার্টির সুপ্রিম অরবিন্দ কেজরিওয়াল। এদিকে, বিহার বিধানসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। তার আগে বিরোধীদের ঐক্যের বার্তা দিতে চাইছে ইন্ডিয়া জোট। পাশাপাশি সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একযোগে আক্রমণও অন্যতম লক্ষ্য। গত বাজেট অধিবেশন ও তার আগের শীতকালীন অধিবেশনে জোটের নেতারা অনেক বিষয়ে একমত হতে পারেননি। তারই সুযোগ নিয়েছিল মোদি সরকার। এবার কেন্দ্রকে কড়া বার্তা দিতে ইন্ডিয়া জোটের এই বৈঠক বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।