সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাতিল হয়ে যেতে পারে বিহারের গোটা নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া! সেটাও বিহারের ভোটের মাত্র দু’মাস আগে। বড়সড় ইঙ্গিত দিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
আসলে মঙ্গলবার আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেছেন, কমিশন বারবার বলছে আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র নয়। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন আদৌ নাগরিকত্ব দিতে পারে কী? সেটা তো ভারত সরকার, বিশেষ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাজ। অভিষেক মনু সিংভির প্রশ্ন, আদৌ নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের আছে তো? সিংভির বক্তব্য, নিবিড় সংশোধনের ফলে প্রায় ৫ কোটি মানুষের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যেতে পারে। এমন কোনও পদ্ধতি নিশ্চয়ই থাকতে পারে না, যাতে রাতারাতি পাঁচ কোটি ভোটারের নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়।
তাতে বিচারপতি সূর্য কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “যারা নাগরিক নন, তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়াটাতে নির্বাচন কমিশনের কাজের মধ্যে পড়ে।” তাতে পালটা সিংভি যুক্তি দেন, “একদম ঠিক। আমি নাগরিক না হলে আমার নাম ভোটার লিস্টে তোলা থেকে বিরত রাখতে পারে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু যদি আমার নাম আগে থেকেই ভোটার তালিকায় থাকে তাহলে কমিশন কীভাবে সেটা বাদ দেবে? এটার তো একটাই অর্থ, নির্বাচন কমিশনই ঠিক করে দিচ্ছে আমি নাগরিক নই। সেটার এক্তিয়ার কমিশনের নেই।” সিংভির এই যুক্তি শোনার পর ডিভিশন বেঞ্চ বলে, “এভাবে যদি ৫ কোটি নাগরিকের নাগরিকত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে যায়, তাহলে আমরাও এখানে বসে আছি।”
এরপরই সুপ্রিম কোর্ট বলে, এসআইআর আদৌ নির্বাচন কমিশনের এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে কিনা সেটাই বিচার্য বিষয়। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের ইঙ্গিত, যদি নিবিড় সংশোধন বেআইনি বলে বিবেচ্য হয় তাহলে গোটা প্রক্রিয়া বাতিল হতে পারে। সেটা বলে বড়সড় ধাক্কা খাবে নির্বাচন কমিশন।