সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বইয়ের বান্দ্রা আদতেই ‘সেলেব পাড়া’। শাহরুখ-সলমন থেকে সইফ আলি খান-সহ আরও অনেকের বাস এই বান্দ্রাতেই। আদিত্য রায় কাপুরও পশ্চিম বান্দ্রার বাসিন্দা। বিগত কয়েক মাসে এঁদের প্রত্যেকের বাড়িতেই অচেনা ব্যক্তি হানা দিয়েছে। গত জানুয়ারি মাসে নিজের বাসভবন শদগুরু শরণেই হামলার মুখে পড়েছিলেন সইফ। তারকাখচিত এই অভিজাত পাড়ায় বারবার কীভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে অনধিকার প্রবেশ ঘটছে? প্রশ্নে তোলপাড় বলিমহল। কারণ এবার এহেন ঘটনার শিকার আদিত্য রায় কাপুর।
মঙ্গলবারই অভিনেতার পশ্চিম বান্দ্রার রিজভি কমপ্লেক্সের ফ্ল্যাটে আচমকাই হানা দেয় জনৈক মহিলা। গত সপ্তাহে নাকি ওই একই মহিলা সলমন খানের বান্দ্রার বাংলোতে ঢোকার চেষ্টা করে পুলিশি গেরোয় পড়েছিলেন। তাতেও শিক্ষা হয়নি! এবার আদিত্যর বাড়ির প্রবেশপথে পরিচারিকার পরিচয় দিয়ে ঢুকে পড়েন তিনি। যদিও রেহাই পাননি। খর থানার পুলিশ তাঁকে আটক করেছে সেদিন রাতেই। তবে এই ঘটনায় নাকি আদিত্য এতটাই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যে মুম্বইয়ের ওই ফ্ল্যাট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছেন। বলিউড মাধ্যম সূত্রে অন্তত এমনটাই খবর।
জানা গিয়েছে, ৫৭ বছর বয়সি ওই মহিলা ঘজালা সিদ্দিকি প্রবেশপথে নিরাপত্তারক্ষীদের কাছে পরিচারিকার পরিচয় দিয়ে অভিনেতার ফ্ল্যাটে ঢোকার পরই সেখানকার পরিচারিকা সঙ্গীতা পাওয়ারের মুখোমুখি হন। আদিত্যর বাড়ির কর্মী হিসেবে তিনি ঘাজালাকে একগুচ্ছ প্রশ্ন করেন। তবে অপরিচিত ওই মহিলা জানান, তিনি আদিত্যর জন্য একগুচ্ছ পোশাক এবং উপহার নিয়ে এসেছেন। শুধু তাই নয়, দিন কয়েক সেখানে থাকবেন বলেও জোরাজুরি করা শুরু করেন। অভিনেতা বাড়ি ফিরতেই পরিচারিকা সঙ্গীতা তাঁকে গোটা বিষয়টি জানান। দেরি না করে তৎক্ষণাৎ সেই ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে গিয়ে প্রথমে সোসাইটি ম্যানেজার জয়শ্রী ডাঙ্কডুর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যিনি আবার আদিত্যর ম্যানেজার শ্রুতি রাওকে ফোন করেন। তিনিই এরপর খর থানায় ফোন করে পুলিশ ডাকেন। মুম্বই পুলিশের একটা টিম আদিত্যর বাড়িতে এসে গোটা বিষয়টির বিবরণ শোনেন এবং তারপরই আটক করা হয় ঘজালা সিদ্দিকি নামের জনৈক মহিলাকে। বিনা অনুমতিতে অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে ইতিমধ্যেই ওই রহস্যময়ীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে খবর।