বাড়িতে এসে চূড়ান্ত অপমান! হালতু কাণ্ডে এবার গ্রেপ্তার ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট

বাড়িতে এসে চূড়ান্ত অপমান! হালতু কাণ্ডে এবার গ্রেপ্তার ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


অর্ণব আইচ: হালতু কাণ্ডে এবার পুলিশের জালে ব্যাঙ্কের রিকভারি এজেন্ট। অভিযোগ, লোন রিকভারির নামে বাড়ি নিয়ে মৃত সোমনাথ রায় ও তাঁর পরিবারকে অপমানজনক কথাবার্তা বলেছিলেন ধৃত চঞ্চল মুখোপাধ্যায়। ফলে মোট গ্রেপ্তারের সংখ্য়া বেড়ে হল ৩।

গত মঙ্গলবার দুপুরে হালতুর পূর্বপল্লিতে স্বামী-স্ত্রী, সন্তানের রহস্যমৃত্যুর খবর পেয়ে কসবা থানার পুলিশ সেখানে পৌঁছন। দেখা যায়, ঘরে ঝুলন্ত সোমনাথ রায়ের বুকে বাঁধা ছোট্ট ছেলে রুদ্রনীল! আরেকদিকে স্ত্রী সুমিত্রার দেহ ঝুলছে। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়, ছেলেকে আগে খুন করে তারপর নিজের শরীরের সঙ্গে বেঁধে তবেই গলায় ফাঁস দিয়েছেন সোমনাথ। ঘরের দেওয়ালে লেখা কিছু নাম, সম্পত্তি সংক্রান্ত কিছু তথ্য। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে আরও তথ্য হাতে পায় পুলিশ। উঠে আসে সোমনাথের মামা-মামির নাম।

জানা যায়, দেনা ছিল অটোচালক সোমনাথের মাথার উপর। ছেলের চিকিৎসার জন্য অটো ইউনিয়নের থেকে নাকি ৮ হাজার টাকা ধার করেছিলেন। কিন্তু মৃত্যুর ঠিক আগে সোমবার জীবনের সেই ঋণ শোধ করে দেন। এছাড়া অন্যান্য জায়গাতেও ধার ছিল, সেসব মেটাতে একটি অটো বিক্রি করেছিলেন সোমনাথ। তারপরও অশান্তি মেটেনি। হালতুর যেখানে তাঁরা থাকতেন, সেটা সোমনাথের মামারবাড়ি। এই সম্পত্তি নিয়ে মামা-মামির সঙ্গে ঝামেলা চলছিল। এই সংক্রান্ত তথ্য পাওয়ার পরই মৃতের মামা ও মামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এরপরই উঠে আসে চঞ্চল মুখোপাধ্যায়ের নাম। সুইসাইড নোটেই নাকি চঞ্চলের নাম লেখা ছিল। এই যুবক আদতে ব্যাঙ্কের লোন রিকভারি এজেন্ট। একটি ব্য়াঙ্ক থেকে নাকি ১০ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন সোমনাথ। সেই সংক্রান্ত বকেয়া নিয়ে মৃতদের বিভিন্নভাবে হেনস্তা করেন চঞ্চল, অভিযোগ এমনটাই। বাড়িতে গিয়ে অপমানজনক কথা বার্তাও বলেন। সেই কারণেই এবার চঞ্চল মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *