সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকেই সাক্ষাৎ করলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর ও মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিও। রুশ তেল কেনায় ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ উচ্চ শুল্ক আরোপের পর প্রথমবার বৈঠক করলেন তাঁরা। এর আগে গত জুলাইয়েও কথা হয়েছিল তাঁদের। জানুয়ারিতেও বৈঠক করেন দু’জনে।
নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নানা মোচড় দেখা গিয়েছে বিগত কয়েক সপ্তাহে। বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত এই বৈঠক থেকে হয় কিনা তা দেখার। ‘শুল্কবোমা’র পর সম্প্রতি ভারতকে ‘ভিসাবোমা’ দিয়ে আঘাত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে এবারের বৈঠক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে সেব্যাপারে নিশ্চিত ওয়াকিবহাল মহল।
জয়শংকর এবং রুবিও-র এই বৈঠকটি আরও অনেক কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এরমধ্যে অন্যতম হল দুই দেশের শুল্ক আলোচনা। তিয়ানজিনে ভারত-চিন-রাশিয়া বন্ধুত্বের ছবি দেখে সুর বদলেছিল ট্রাম্পের। H1B ভিসার নিয়মে পরিবর্তনের একদিন পরেই এই বৈঠক যে সব অর্থেই ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তাতে সন্দেহ নেই বিশেষজ্ঞদের।
রবিবার রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় যোগ দিতে নিউইয়র্কে পৌঁছন জয়শংকর। তাঁর কর্মসূচির শুরুতেই ছিল ফিলিপিন্সের বিদেশমন্ত্রী থেরেসা পি লাজারোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তিনি তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “আমরা প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোসের সাম্প্রতিক ভারত সফরের পর আবার আলোচনা করেছি। রাষ্ট্রসংঘ এবং ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে আমাদের সহযোগিতা নিয়েও কথা হয়েছে।”