সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৩ জুলাই ধর্ষণে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসারাম বাপুর অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার আরও বাড়ল সেই মেয়াদ। গুজরাট হাই কোর্ট জানিয়ে দিল, ২১ আগস্ট পর্যন্ত জেলের বাইরে থাকতে পারবেন স্বঘোষিত ধর্মগুরু। এই নিয়ে তৃতীয়বার বাড়ানো হল তাঁর জামিনের মেয়াদ। চিকিৎসার কারণেই এই মেয়াদবৃদ্ধি।
উল্লেখ্য, এর আগের বার জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর সময় আসারাম জানিয়েছিলেন, পরবর্তী সময়ে তিনি আর মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করবেন না। কিন্তু এতদসত্ত্বেও ফের তিনি আবেদন করেন উচ্চ আদালতে। হাসপাতাল এবং ডাক্তারের সার্টিফিকেট উপস্থাপন করেন। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারপতি ইলেশ জে ভোরা ও বিচারপতি পি এম রাভাইয়ের বেঞ্চ জামিনের মেয়াদ বাড়িয়ে দিলেন। এর আগে ৩ জুলাই হাইকোর্ট এক মাসের জামিন মঞ্জুর করেছিল। তারও আগে ২৭ জুন হাইকোর্ট ৭ জুলাই পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেছিল। এর আগে, আসারাম বাপু চিকিৎসার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে গিয়েছিলেন।
২০১৩ সালে যোধপুরের আশ্রমে ১৬ বছরের এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল আসারামের বিরুদ্ধে। এর পর ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে ইন্দোর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই মামলায় ২০১৮ সালে যোধপুরের একটি আদালত ধর্মগুরুকে দোষী সাব্যস্ত করে। এই মামলায় আমৃত্যু কারাবাসের সাজা দেওয়া হয় স্বঘোষিত এই ধর্মগুরুকে। মামলায় আসারামের পরিবারের সদস্য এবং কয়েকজন শিষ্যও অভিযুক্ত ছিলেন। তাঁরা হলেন আসারামের স্ত্রী লক্ষ্মী, ছেলে নারায়ণ সাঁই, মেয়ে ভারতী। চার শিষ্যা ধ্রুববেন, নির্মলা, জাসসি ও মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৫৪এ, ৩৭০ (৪), ৩৭৬, ৫০৬ ও ১২০ বি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছিল।