বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রুনেইকে গোলের মালা, তবু ঝুলে ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ ভাগ্য

বাছাই পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রুনেইকে গোলের মালা, তবু ঝুলে ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ ভাগ্য

ইন্ডিয়া খবর/INDIA
Spread the love


ভারত: ৬ (বিবিন ৩, মহম্মদ এইমেন ২, আয়ুশ)
ব্রুনেই: ০

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাহারিনের বিরুদ্ধে জয়। অনবদ্য লড়াই করে কাতারের বিরুদ্ধে হার। এবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে ব্রুনেইকে গোলের মালা। মঙ্গলবার অনূর্ধ্ব-২৩ এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে ব্রুনেইকে ৬-০ গোলে হারাল ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দল। তবে এ হেন বড় জয়ের পরও মূল পর্বে নওসাদ মুসার ছেলেরা আদৌ সুযোগ পাবেন কিনা সেটা নিয়ে সংশয় রয়েছে।

এই ব্রুনেইয়ের বিরুদ্ধে গ্রুপের দুই শক্তিশালী দল বাহারিন এবং কাতার গোল করেছিল ১০ এবং ১৩। ভারতকে সরাসরি টুর্নামেন্টের মূল পর্বে সুযোগ পেতে ওই মাপের ব্যবধানে ম্যাচেটা জিততে হত। নওশাদ মুসার ছেলেরাও সেই চেষ্টাটাই করেছিলেন। ম্যাচের একেবারে শুরু থেকে বিবিন মোহনন, সাহিল হরিজনরা আক্রমণে। একের পর এক তিরে ছারখার করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন ব্রুনেই রক্ষণের দুর্বল দুর্গ। সমস্যা হল, ভারতীয় অনূর্ধ্ব-২৩ দলের ফরওয়ার্ডরা একের পর এক আক্রমণ করলেন বটে কিন্তু যত বড় জয় প্রত্যাশা করা হচ্ছিল, তত বড় জয় এল না। এক এক করে ৬ বার ব্রুনেই রক্ষণ ভেদ হল। তাতেও আশা পূরণ হল না সমর্থকদের।

টিম ইন্ডিয়ার প্রথম গোল এল মাত্র ৫ মিনিটে বিবিনের পা থেকে। ৭ মিনিটে ফের তাঁরই গোল। এবার ব্রুনেই গোলরক্ষকের ভুলে। ম্যাচের ৪১ মিনিটে আয়ুশ ছেত্রী ভারতের তৃতীয় গোলটি করলেন। প্রথমার্ধ শেষ হলে ওই ৩-০ ব্যবধানেই। দ্বিতীয়ার্ধে ফের গোল দেওয়ার চেষ্টা। আর ব্রুনেইয়ের মরিয়া রক্ষণ। খেলার ছবি বদলালো না। ৬২ মিনিটে ফের গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণ করলেন বিবিন। কিন্তু এরপর গোলমুখ খোলার একের পর এক চেষ্টা প্রতিহত হচ্ছিল। শেষদিকে ৯৭ মিনিট এবং সংযুক্ত সময়ে ভারতের হয়ে দুটি বিশ্বমানের গোল করলেন মহম্মদ এইমেন। খেলা শেষ হল ৬-০ গোলে।

তবে এত বড় জয়ের পরও গোলপার্থক্যে বাহারিন বা কাতার কাউকেই টপকাতে পারল না টিম ইন্ডিয়া। যার অর্থ গ্রুপের শীর্ষে থেকে মূল পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা কার্যত শেষ বিবিনদের। তবে এখনও একটা ক্ষীণ আশা আছে। সেরা চার দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল যাবে মূল পর্বে। এখন ভারতকে অপেক্ষা করতে হবে অন্যদের ফলাফলের উপর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *