মনিরুল ইসলাম: বাংলায় কথা বলা অপরাধ! এক বাঙালিকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে ওড়িশায় আটকে রাখার অভিযোগ। হাওড়ার আমতা বিধানসভা এলাকার একজনকে আটকে রেখেছিল ওড়িশা পুলিশ। বিধায়ক সুকান্ত পাল এবং হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের উদ্যোগে ছাড়া পেলেন বাংলার বাসিন্দা। তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন, এখনও অনেকে পড়শি রাজ্যে আটকে রয়েছে। সেখানে বাঙালিদের নানা রকমভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমতা বিধানসভার পশ্চিম বাইনান গ্রামের বাসিন্দা শেখ মনিহার ইসলাম ওড়িশার বারাং এলাকায় কাজে গিয়েছিলেন। ১০ জুন তিনি সেখানে পৌঁছন । তারপরই বিপত্তি! ২৫ তারিখ ওড়িশা পুলিশ তাঁদের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে মনিহার ও আরও কয়েকজনকে বারাং থানায় তুলে নিয়ে আসে বলে অভিযোগ। তাদের একটি ক্যাম্পে আটকে রাখা হয় বলে দাবি। শেখ মনিহার জানিয়েছেন, তাঁর ফোন কেড়ে নেওয়া হয়। পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। অবশেষে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে কোনওমতে বাড়িতে যোগযোগ করেন তিনি।
উদ্বিগ্ন পরিবার যোগাযোগ করেন আমতার বিধায়ক সুকান্ত পালের সঙ্গে। বিধায়ক বিষয়টি জানান,হাওড়া গ্রামীণ পুলিশকে। পুলিশ মনিহারের সব কাগজপত্র যাচাই করে। তিনি বাংলার বাসিন্দা তা নিশ্চিত হওয়ার পর গ্রামীণ পুলিশ বারাং থানা ও ওই এলাকার কমিশনারেটের ডেপুটি কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তাঁদেরকে কাগজপত্র পাঠানোর পর ছাড়া হয় মনিহারকে। মনিহার বলেন, “গত তিন বছর ধরে আমি ওড়িশায় যাচ্ছি। এই প্রথম হেনস্থা হতে হল।” তিনি প্রশ্ন তুলেছেন ভারতবাসী হওয়া সত্ত্বেও কেন আমাদের অন্য রাজ্যে গিয়ে এভাবে হেনস্থার শিকার হতে হবে?