সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বাইরের বৃষ্টিতে দুর্যোগ উত্তরবঙ্গে। পাহাড় ও লাগোয়া একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি। ভূমিধসে রাস্তা, সেতু ভেঙে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন। ইতিমধ্যে ১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যে পুরোদমে নেমেছে প্রশাসন ও স্থানীয়রা। এর মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে বাংলার দুই জেলাকে সতর্ক করল ভুটান। জানা গিয়েছে, ভুটানের টালা বাঁধের গেট খোলা যায়নি বলে নদীর জল উপচে পড়ছে। যে কোনও মুহূর্তে ভেসে যেতে পারে বিস্তীর্ণ এলাকা। তাই জলপাইগুড়ি ও কোচবিহার জেলার জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে সতর্ক করা হল ভুটানের আবহাওয়া দপ্তরের তরফে। উত্তরবঙ্গের বিপর্যয় মোকাবিলায় কেন্দ্রের নির্দেশে নেমেছে সেনাবাহিনী।

ভুটান পাহাড় থেকে ডুয়ার্সমুখী অন্তত ৭২ টি নদী ও ঝোরা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য জলঢাকা, তোর্সা, রেতি, সুকৃতি, পানা, বাসরা, রায়ডাক, সংকোশ। জলঢাকা, তোর্সা, রায়ডাক, সংকোশ নদী যেখানে উত্তরবঙ্গ দিয়ে ঢুকেছে, তার আশপাশে প্রচুর জনবসতি। শনিবার রাতভর বৃষ্টিতে সেসব এলাকা ইতিমধ্যে প্রায় জলের নিচে। গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো যুক্ত হয়েছে ভুটানের বৃষ্টি। বিপদ আরও বাড়িয়েছে ওয়াংচু নদীর উপর টালা বাঁধ। এই বাঁধের গেট খোলা যায়নি। এই প্রথম এমনটা ঘটল। ফলে ওয়াংচুর নদীর জল উপচে পড়ছে। জলের চাপে যে কোনও বাঁধ ভেঙে গেলে বড়সড় বিপদের আশঙ্কা। প্রভাব পড়তে পারে ৭২ টি নদী ও ঝোরা সংলগ্ন এলাকায়। যার বিস্তীর্ণ অংশই জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে। এই দুই জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা করছে ভুটানের আবহাওয়া দপ্তর। আর এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতির জন্য আগাম সতর্ক করা হল বাংলার দুই জেলাকে।
এদিকে, উত্তরবঙ্গে বিপর্যয় নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিয়েছেন। পাশাপাশি বিপর্যয় মোকাবিলা দলের উদ্দেশে দ্রুত কাজের বার্তা তাঁর। আগে এনিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছিলেন উদ্বিগ্ন প্রধানমন্ত্রী। পরবর্তী সময়ে পরিস্থিতি দেখে কেন্দ্র সেনাকে কাজে নামার নির্দেশ দেয়। ভেঙে যাওয়া সেতুগুলি অস্থায়ীভাবে মেরামতি করে উদ্ধারকাজ শুরু করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সেইমতো কাজে নেমেছে সেনাবাহিনী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন